যৌতুকের খাট না পেয়ে গৃহবধূকে হত্যা : স্বামী-শাশুড়ি পলাতক

নওগাঁ প্রতিনিধি: নওগাঁয় বিয়ের সময় চুক্তিকরা খাট ও যৌতুকের টাকা না পাওয়ায় সুখী বানু (২৮) নামে এক গৃহবধুকে শ্বাস রোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে।
শনিবার বিকেল ৪টার দিকে সদর উপজেলার খলিশা কুড়ি গ্রামের সরদার পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তসহ পরিবারের সদস্যরা পলাতক রয়েছে। সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে। গত ৩ বছর আগে শহরের কাদোয়া গ্রামের সুখী আক্তারের সাথে পার্শবর্তী খলিশা কুড়ি গ্রামের আকরাম হোসেন ছেলে হোসেন আলীর সাথে বিয়ে হয়। তাদের ২ বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।
নিহতের স্বজনরা জানান, যৌতুকের চাহিদা পুরণ না হওয়ায় শাশুড়ী শেফালী বেগম ও জামাই হোসেন আলী (৩৫) নির্মম নির্যাতন সহ্য করেই সংসার ধরে রাখতে চেয়েছিল সুখী বানু। শনিবার সকাল ১০টার দিকে নওগাঁ সদরের খলিশা কুড়ি মেয়ের বাড়ীতে এসে দেন দরবার করে যৌতুক দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে চলে গিয়েছিল। কিন্ত স্বামী শ্বাশুড়ীর ওই প্রতিশ্রুতিতে মন গলেনি। বিকেল ৪টার সুখী’কে শ্বাস রোধ করে হত্যার পর ঘরে তালা দিয়ে গা ঢাকা দেয় পরিবারের সদস্যরা। প্রতিবেশীরা বাড়ীতে সাড়া শব্দ না পেয়ে জানালা দিয়ে দেখতে পায় গৃহবধূর সুখীর মরদেহ। পরে পুলিশকে খবর দিলে বাড়ীর দরজা ভেংগে মরদেহ উদ্ধার করে।
নিহত গৃহবধুর বাবা আলী হোসেন বলেন, বিয়ের সময় একটি খাট ও যৌতুকের এক লাখ টাকা দাবী করে সুখীকে নিত্য নির্যাতন করে তার মেয়ের জামাই ও শ্বাশুড়ী। এর মাঝে কিছু টাকা দিলেও খাট না দেওয়ায় আজ সকালে ডেকে পাঠায় আমাদের । এসে দ্রত টাকা দিয়ে দিব বলে নিজ বাড়িতে চলে আসি। বিকেলে দিকে খবর পাই মেয়েকে মেরে ফেলা হয়েছে। আমার মেয়েকে যারা হত্যা করেছে তাদের কঠিণ শাস্তি চাই। থানায় ৫জনের নাম উল্লেখ করে অভিযোগ দিয়েছি। ময়না তদন্তের পর নাকি মামলা হিসেবে নেওয়া হবে বলে জানায় পুলিশ।
নওগাঁ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফায়সাল বিন আহসান বলেন, মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে জানা যাবে মৃত্যুর সঠিক কারন। তবে নিহতের স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন বর্তমানে পলাতক রয়েছে। ঘটনাটি খতিয়ে দেখছি।


প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২৩ | সময়: ৬:৩৭ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ