ওয়াসার ভূ-উপরিস্থ পানি শোধনাগার নির্মাণ হবে যুগান্তকারী কাজ : লিটন

স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটনের সাথে সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় করেছেন ‘রাজশাহী ওয়াসা ভূ-উপরিস্থ পানি শোধনাগার নির্মাণ’ প্রকল্প বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান চীনের হুনান কনস্ট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রুপ কোম্পানি লিমিটেডের প্রতিনিধিরা। বৃহস্পতিবার বিকেলে নগর ভবনে রাসিক মেয়রের সঙ্গে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রকল্প সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
সভায় উপস্থিত ছিলেন হুনান কনস্ট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রুপ কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান ঈধর উরধহবির, ভাইস ম্যানেজার ঈযবহ ঐধড়, সিনো-হুনান ওভারসিস ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান খরঁ ণরয়র, কনস্ট্রাকশন ইনভেস্টমেন্ট ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান ণর ণধয়রহ .
সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য ও রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ডা. আনিকা ফারিহা জামান অর্ণা।
সভায় রাসিক মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে অপেক্ষা করছিলাম কবে ‘রাজশাহী ওয়াসা ভূ-উপরিস্থ পানি শোধনাগার নির্মাণ’ প্রকল্পের কাজ শুরু হবে। আনন্দেও বিষয় প্রকল্পের বাস্তবায়ন কাজ শুরু হতে যাচ্ছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন, গোদাগাড়ী, কাটাখালি ও নওহাটা পৌরসভার মানুষ বিশুদ্ধ পানি পাবে। এটি আমাদের জন্য হবে একটি যুগান্তকারী কাজ। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে আমার পূর্ণাঙ্গ সহযোগিতা থাকবে। আমি আশা করি নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই প্রকল্পের বাস্তবায়ন কাজ শেষ হবে।
মেয়র আরো বলেন, রাজশাহীতে ওয়াসা ভূ-উপরিস্থ পানি শোধনাগার নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়নে আসায় হুনান কনস্ট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রুপ কোম্পানির সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়নের নিমিত্তে চীনের হুনান কনস্ট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রুপ কোম্পানি লিমিটেডের সাথে ২০২১ সালের ২১ মার্চ রাজশাহী ওয়াসার চুক্তি সম্পাদন হয়। প্রকল্পটি ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ হাজার ৬২ কোটি ২২ লাখ। এর মধ্যে বাংলাদেশ সরকার ১ হাজার ৭৪৮ কোটি এবং হুনান কনস্ট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ার গ্রুপ কোম্পানি লিমিটেড ২ হাজার ৩১৩ কোটির বেশি টাকা ব্যয় করবে। চার বছরের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ হবে।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে এ প্রকল্পের খসড়া সম্পন্ন করা হয়। পরের বছর চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে এ নিয়ে একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়। প্রকল্পটি দ্রুত পাস করতে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা চালান। পরবর্তীতে ২০১৮ সালের ১১ অক্টোবর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) সভায় অনুমোদন লাভ করে ৪ হাজার ৬২ কোটি ২২ লাখ টাকার প্রকল্পটি। চীনের একটি ব্যাংকের অর্থায়নে পানি শোধনাগারটি স্থাপন করা হবে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায়। সেখানে পদ্মা নদী থেকে পানি তুলে শোধনাগারে শোধন করে পাইপের মাধ্যমে বিশুদ্ধ পানি এনে রাজশাহী মহানগরী ও এর আশপাশের এলাকায় সরবরাহ করা হবে।


প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২৩ | সময়: ৬:১৯ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ

আরও খবর