সর্বশেষ সংবাদ :

তানোরে একই জমি দুইবার বিক্রির চেষ্টা

স্টাফ রিপোর্টার, তানোর: বিক্রি করা জমি আবারও অন্যের কাছে বিক্রি করার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার তানোর সাব-রেজিস্ট্রারের কাছে এবিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেছে ভুক্তভুগিরা।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহীর তানোর উপজেলার পাঁচন্দর ইউনিয়নের লালপুকুরিয়া মৌজা, জেএল নং ৭৫, খতিয়ান নং এস, এ-৬ এবং আরএস-২৭ ধানী ভিটা মিলে ৫.৫৫ একক (সাড়ে ১৬ বিঘা) জমি। ১৯৭৫ সালে গোদাগাড়ীর পাকড়ী গ্রামের তমির উদ্দীন তার নামীয় ৫.৫৫ একর জমি শিবগঞ্জ উপজেলার বিরামপুর গ্রামের হাবিবুর রহমান, আব্দুর খালেক, সেলিম মিয়া ও ডলার মিয়া কাছে পৃথক পৃথক ভাবে চারটি দলিলে বিক্রি কবলা দলিলে রেজিস্ট্রি করে দেন। সেই থেকে ক্রয়কৃত জমি ওই চার জন ভোগদখল করে আসছে।
তমির উদ্দীন মারা যাবার পর তার ওয়ারিশরা সেই জমি নিজেদের দাবি করে অন্য ব্যক্তির কাছে বিক্রি করার জন্য বৃহস্পতিবার তানোর সাব রেজিস্ট্রি অফিসে আসেন জমি রেজিস্ট্রি করে দেবার জন্য।
এদিকে ক্রয়কৃত ওই জমি মালিক হাবিবুর রহমান, আব্দুল খালেক, সেলিম মিয়া ও ডলার মিয়া বিষয়টি জানতে পেরে তারা তানোর সাব রেজিস্ট্রি অফিসে এসে সাব রেজিস্ট্রারের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন।
সাব-রেজিস্ট্রার তমির উদ্দীনের ওয়ারিশগদের দলিল রেজিস্ট্রি বন্ধ করে দেন। হাবিবুরে আত্মীয় আব্দুর রশিদ নামে এক ব্যক্তি বলেন, ১৯৭৫ সালে তমির উদ্দীন তার জমি চার জনের কাছে বিক্রি করেছে, এটা সত্য। হাবিবুর রহমান, আব্দুল খালেক, সেলিম মিয়া ও ডলার মিয়ারা সহজ সরল ব্যাক্তি। পৃথক পৃথক দলিল রয়েছে। তারা ওই জমি চাষাবাদ করে আসছে। বর্তমানে জমিতে সরিষা ও ধান রোপন করা রয়েছে।
তমির উদ্দীন মারা যাবার পর হটাৎ করে তার ওয়ারিশরা জমি বিক্রি করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। কাউকে না জানিয়ে চুপ করে জমি বিক্রি করতে চেয়েছিল। অভিযোগ করায় তানোর সাব রেজিস্ট্রার জমির দলিল রেজিস্ট্রি করেন নি।
ডলার মিয়া বলেন, তমির উদ্দীন আমাদের চার ভাইয়ের কাছে জমি বিক্রি করেছে। আমাদের নামে দলিল রয়েছে। মৃত তমির উদ্দীনের ছেলে এনায়েতুল্ল্াহ সূর্য বলেন, আমার পিতা কোন জমি বিক্রি করেননি। আমার পিতা মৃত তমির উদ্দীনের নামে রেকর্ড রয়েছে।


প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২৩ | সময়: ৬:১১ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ