সর্বশেষ সংবাদ :

আদালতে রুল জারি অবস্থায় ফের রাবি শিক্ষকের পদোন্নতির চেষ্টা 

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক :

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আইন বিভাগের শিক্ষক নূর নুসরাত সুলতানার নিয়োগ কেন অবৈধ ঘোষণা হবে না তা নিয়ে আদালতের রুল জারি রয়েছে। এরই মধ্যে তাঁর পদোন্নতির জন্য দ্বিতীয়বার বোর্ড সভা বসবে আজ সোমবার। তবে এ অবস্থায় প্রমোশন বেআইনি হওয়ায় ফের বিশ^বিদ্যালয় প্রশাসন ও বোর্ডের সদস্যদের লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী মুসাব্বির হাসান রোমান। গত ৯ ফেব্রুয়ারি তিনি এ নোটিশ পাঠান।

 

 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ৪ জুলাই আইন বিভাগের শিক্ষক নূর নুসরাত সুলতানার পদোন্নতি বিষয়ক একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে বোর্ড সদস্যরা ওই শিক্ষকের সার্টিফিকেটে নামের ভিন্নতা পাওয়া গেলে বোর্ড সেটি স্থগিত করে। এর আগে ২০২১ সালে ওই শিক্ষকের নিয়োগের বিরুদ্ধে রিট করেন একই বিভাগের প্রাক্তন ছাত্র নুরুল হুদা। সেখানে তিনি উল্লেখ করেন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির শর্ত অনুযায়ী স্নাতক বা স্নাতকোত্তরের যে কোনো একটিতে প্রথম শ্রেণি থাকা বাধ্যতামূলক ছিল। কিন্তু নুসরাত সুলতানা স্নাতক ও স্নাতকোত্তরে দ্বিতীয় শ্রেণি অর্জন করেন। তবে তিনি আবেদনে প্রথম শ্রেণি উল্লেখ করেছেন। নুরুল হুদার এই রিট আমলে নিয়ে রুল জারি করে মহামান্য আদালত।

 

এবিষয়ে নুরুল হুদা বলেন, ‘গত ৪ জুলাই ওই শিক্ষকের পদোন্নতি বিষয়ে একটি সভা হয়েছিল। তার কয়েকদিন আগে এ বিষয়ে একটি লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়। সেই নোটিশের প্রেক্ষিতে এবং তাঁর সার্টিফিকেট নামে ভিন্নতা ছিল। সেকারণে সেটি স্থগিত করা হয়েছে। আবারও বোর্ড করা হয়েছে। তাই আমি আবারও লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছি। কারণ তিনি এবার যে সার্টিফিকেট দাখিল করেছেন সেটি বিশ^বিদ্যালয় প্রশাসন যাচাই-বাছাই করেনি। আর বিভাগের প্লানিং কমিটির সভায়ও সেটি নিয়ে আলোচনা হয়নি। আর যেহেতু ওই শিক্ষকের নিয়োগের বিষয়ে আদালতের রুল জারি আছে সেহেতু তাঁর পদোন্নতি হতে পারে না।’

 

এ বিষয়ে পদোন্নতি বোর্ডের সদস্য ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক সরকার আলী আক্কাস বলেন, ‘নিয়োগের বৈধতার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলতে পারবে। তবে আগামীকাল (সোমবার) রাবির আইন বিভাগের প্রোমোশন বোর্ডে আমার থাকার কথা। কিš‘ আমার ব্যক্তিগত একটি কাজের জন্য আমি বোর্ডে যাচ্ছি না।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আবদুস সালাম বলেন, সাধারণত যখন নতুন চাকরি দেওয়া হয় তখন সার্টিফিকেট যাচাই-বাছাই করা হয়। তবে পদোন্নতির এই বিষয়ে সার্টিফিকেটগুলো ওইভাবে ভেরিফাই করা হয়নি। সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, ‘এবিষয়ে আমাদের রেজিস্ট্রার ভালো বলতে পারবেন। তবে তিনি সার্টিফিকেট কেন যাচাই-বাছাই করেননি এ বিষয়ে আমি খোঁজ নেব।’

সানশাইন/শামি


প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২৩ | সময়: ১০:০২ অপরাহ্ণ | Daily Sunshine