জাতীয় কবিতা উৎসব ফিরছে মঞ্চে

সানশাইন ডেস্ক: মহামারীতে দুবছর বন্ধ থাকার পর ‘বাংলার স্বাধীনতা আমার কবিতা’ স্লোগান নিয়ে মঞ্চে ফিরছে জাতীয় কবিতা উৎসব। আগামী ১ ও ২ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার প্রাঙ্গণে বসবে এ উৎসবের ৩৫তম আসর।
মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এবারের আয়োজনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে জাতীয় কবিতা পরিষদ। সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন পরিষদের সভাপতি কবি মুহাম্মদ সামাদ। লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান পরিষদের সাধারণ সম্পাদক তারিক সুজাত।
তিনি বলেন, “এ বছর আমাদের কবিতা উৎসবের মর্মবাণী ‘বাংলার স্বাধীনতা আমার কবিতা’। উৎসবে কবিতাপাঠ, নিবেদিত কবিতা, সেমিনার, আবৃত্তি ও সংগীতের মধ্য দিয়ে আমরা এই স্লোগানকে মূর্ত করে তুলব। বরাবরের মত এবারও উৎসবের আঙিনা নির্ধারণ হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার প্রাঙ্গণের হাকিম চত্বর। উৎসবে ভারত, নেপাল ও মালদ্বীপসহ দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের কবিরা অংশ নেবেন। উৎসবে ‘জাতীয় কবিতা পরিষদ পুরস্কার’ ঘোষণা করা হবে।
এবারের উৎসবের প্রতিপাদ্য নিয়ে কবি মুহাম্মদ সামাদ বলেন, “আমরা মনে করি বাংলার যে স্বাধীনতা, সেটা একটা কবিতা। কারণ কবিদের কবিতা, যেমন- জীবনানন্দ দাশ, নজরুল ও রবীন্দ্রনাথের গান-কবিতা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময় কী ভূমিকা পালন করেছে, আপনারা তা জানেন।
“স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে গতবার আমরা উৎসব করার কথা ছিল। কিন্তু আমরা তা করতে পারি নাই। এবার আমাদের উৎসবের মর্মবাণী স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীকে কেন্দ্র করে। আমাদের উৎসবে কবিতা পাঠ, প্রবন্ধ, সেমিনার ও বক্তব্যে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী সম্পর্কে কথা থাকবে।”
স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলমুক্তির ডাক দিয়ে ১৯৮৭ সালে জাতীয় কবিতা উৎসবের শুরু। স্বৈরাচার, সাম্প্রদায়িকতা, মৌলবাদ, গণতন্ত্র হনন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এবং বর্বরতার বিরুদ্ধে এই কবিতা উৎসবে প্রতিবাদ জানান বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে আসা কবিরা।
সংবাদ সম্মেলনে তারিক সুজাত বলেন, “বাংলাদেশের কবিরা চিরকালই প্রগতির পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। বিগত প্রায় সাড়ে তিন দশক ধরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও ভাষার সংগ্রামী কবিরা এই উৎসবে আমাদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে মানুষের মুক্তির কথা বলেছেন। এই উৎসবকে আমরা কবিতার মিলনমেলায় পরিণত করতে পেরেছি।“
তার ভাষ্য, স্বৈরাচার ও মৌলবাদবিরোধী আন্দোলন এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে বাংলাদেশের কবি-লেখক- শিল্পী-প্রকাশক এবং মুক্তবুদ্ধির মানুষেরা বার বার আক্রান্ত হয়েছেন। এরপরও তারা ঐক্যবদ্ধ থেকেছেন। অন্যদের মধ্যে উৎসবের আহ্বায়ক কবি শিহাব সরকার, কবি ও প্রাবন্ধিক আমিনুর রহমান সুলতান, কবি আসলাম সানি, কবি কাজল বন্দোপাধ্যায়, কবি ও গবেষক মুস্তাফা মজিদ, শিশু সাহিত্যিক আমীরুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।


প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৮, ২০২৩ | সময়: ৫:২৮ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ