সর্বশেষ সংবাদ :

পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা ৬. ৯ ডিগ্রি বৃষ্টির মতো ঝরছে কুয়াশা

সানশাইন ডেস্ক: কয়েকদিন ধরে উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে হিমেল হাওয়া আর ঘন কুয়াশার কারণে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এতে বেড়েছে জনদুর্ভোগ। মঙ্গলবার সকাল ৯টায় জেলার তেতুঁলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৬ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
সোমবার সন্ধ্যা থেকে কুয়াশা কম থাকলেও রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘন কুয়াশায় পথঘাট ঢেকে যায়। সেই সঙ্গে হিমেল হাওয়া বয়ে যায়। রাতভর বৃষ্টির মতো কুয়াশা ঝরে। তবে মঙ্গলবার সকালে হিমেল হাওয়া কিছুটা কম থাকলেও ঘন কুয়াশায় পথঘাট ঢেকে যায়। দিনের বেলা মহাসড়কগুলোতে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। শীত নিবারণের জন্য আগুন পোহাচ্ছেন মানুষজন। তীব্র শীতে সময়মতো কাজে যোগ দিতে পারছেন না শ্রমজীবী মানুষেরা।
ঘন কুয়াশার কারণে মরিচ, ভুট্টা, বোরো ধানের বীজতলাসহ নানা ফসলের ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। তবে কৃষি বিভাগ বলছে, এমন আবহাওয়া এসব ফসলের উৎপাদন বাড়াবে। দিনরাত ঘন কুয়াশায় আচ্ছাদিত থাকলে ফসলের ক্ষতি হতো। এদিকে, ডায়রিয়া, জ্বর-সর্দি, নিউমোনিয়াসহ শীতজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন বয়স্ক ও শিশুরা। জেলার হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে রোগী। অনেকে ভর্তি হচ্ছেন, অনেকে আবার প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে যাচ্ছেন।
জেলায় সরকারি ও বেসরকারিভাবে শীতার্তদের জন্য প্রায় ৪৩ হাজার শীতবন্ত্র বিতরণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন। জানুয়ারির শুরু থেকে জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া হিমেল হাওয়া ও কনকনে ঠান্ডা অব্যাহত থাকবে। সেই সঙ্গে চলতি মাসের মাঝে এবং শেষের দিকে তাপমাত্রা আরও কমবে বলে জানিয়েছেন তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের পর্যবেক্ষক রোকনুজ্জামান রোকন।


প্রকাশিত: জানুয়ারি ১১, ২০২৩ | সময়: ৫:১১ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ