বাঘায় ভালোবাসায় সিক্ত কল্যানী শিশু সদনের এতিম শিশু ও বৃদ্ধারা

স্টাফ রিপোর্টার,বাঘাঃ

 

“মানুষ মানুষের জন্য,জীবন জীবনের জন্য একটু সহানুভতি কি মানুষ পেতে পারেনা’’। মানবতাবাদী কন্ঠশিল্পী ভুপেন হাজারিকার সোচ্চার কন্ঠে উচ্চারিত এই গানটিকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তুলে ধরেছিলো আর্ন্তজাতিক সংবাদ সংস্থা বিবিসি। আর এই গানকে মুল্যায়ন করে যিনি একের পর এক অসহায় মানুষের পাশে দাড়ান তিনি হলেন, বাঘা উপজেলা কৃষি অফিসার শফিউল্লাহ সুলতান।

 

 

 

বছরের প্রথমদিন উপজেলার সরেরহাট এলাকায় অবস্থিত কল্যানী শিশুসদন এতিমখানার অসহায় এতিম শিশু এবং বৃদ্ধাশ্রমের প্রায় দেড় শতাধিক মানুষের সাথে নিজে খেলেন এবং অন্যদের খাওয়ালেন। তার এই মহানুভব উদ্যোগের সাথে উপস্থিত ছিলেন উপজেলার বেশ কয়েকজন অফিসারবৃন্দ । বাঘা উপজেলা কৃষি অফিসার শফিউল্লাহ সুলতান বলেন, আমার ধর্ম মানবতা। আমি রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সাধ্যমতো সমাজের অসহায় ও দুস্থ মানুষদের সহায়তা করতে চাই। তার মতে, বছরের শেষ দিন অনেকেই ভালোমন্দ রান্ন-বান্না সহ হৈ-হুল্লো করে নববর্ষ উৎযাপন করেন। আবার অনেকেই প্রথমদিন বাড়িতে উন্নত রান্না সহ হোটেল -রেস্তরা কিংবা চাইনিজ-এ গিয়ে উন্নত খাবার খান। এসব বিচার বিশ্লেষণ করে আমার মনে হয়েছে এ সকল এতিম শিশু এবং বৃদ্ধাদের ভালো খাবার পরিবেশন করা উচিত। তাই আমি এদের এক সন্ধ্যা ভালো খাবারের ব্যবস্থা করেছি।

 

 

 

 

এ সময় তাঁর সাথে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার মোহা: নাফিজ শরিফ, পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা ইমরান আলী, আনছার ভিডিবি কর্মকর্তা মিলন কুমার দাস ও উপজেলা প্রতিবন্ধী কর্মকর্তা মনসুর আলী-সহ এলাকার সুশীল সমাজের নেত্রীবৃন্দ ও সরের হাট কল্যানী শিশুসদন এবং বৃদ্ধা শ্রমের পরিচালক বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুদ্দিন রওফে পল্লী চিকিৎসক ডা: সমেশ। কল্যানী শিশু সদনের মালিক বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুদ্দিন ওরফে ডা: শমেস বলেন, কিছু মানুষ বিশ্বাস করে, প্রতিভা বা ভাগ্যের দ্বারা অসাধ্য সাধন করা যায়। কিন্তু পৃথিবীতে যারা কীর্তিমান, তারা প্রতিভার চেয়ে কঠোর পরিশ্রমকেই গুরুত্ব দিয়েছেন বেশি। আমাদের কৃষি অফিসার সত্যিকার অর্থে একজন পরিশ্রমী মানুষ। তিনি গত বছর বিজয় দিবসের দিন এমনি ভাবে আমার একিমদের খাওয়ানোর ব্যবস্থা করে ছিলেন। আমি তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞ।

 

 

 

প্রসঙ্গত, রাজশাহী শহর থেকে ৪৫ কিলোমিটার পূর্বে পদ্মা নদীর তীর ঘেঁষে বাঘা উপজেলার গড়গড়ি ইউনিয়নের সরেরহাট গ্রাম। ওই গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুদ্দিন ওরফে ডা: শমেস ১২ শতাংশ জমি ক্রয় করে চালু করেন একটি এতিম খানা। যার নাম দেয়া হয় ‘সরেরহাট কল্যাণী শিশু সদন।’ পরে সেখানে এতিমদের পাশা-পাশি বৃদ্ধাশ্রম খোলা হয়। বর্তমানে এই সদনে ১৪০ জন এতিমের পাশা-পাশি ৩০ জন বৃদ্ধ অবস্থান করছেন। আর তাদের সাথে বাস করছেন সমেশ দম্পতি।

 

 

 

 

সানশাইন/টিএ


প্রকাশিত: জানুয়ারি ১, ২০২৩ | সময়: ৭:৪৬ অপরাহ্ণ | Daily Sunshine