মেডিকেল অলিম্পিয়াডে তামাকমুক্ত দেশ গঠনের অঙ্গীকার

সানশাইন ডেস্কঃ

 

তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গঠনে শক্তিশালী আইনের বিকল্প নেই। তামাক কোম্পানীগুলো নতুন ভোক্তা বানাতে নানা ধরনের অপতৎপরতা চালাচ্ছে। তাদের এই অপতৎপরতা রুখে দিতে দেশের চিকিৎসকদের এগিয়ে আসতে হবে। এজন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিয়ে সাধারণ মানুষদের সচেতন করতে হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় অধ্যাপক ডা. এ কে আজাদ খান।

 

 

শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত দেশের প্রথম মেডিকেল অলিম্পিয়াডে সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

 

 

 

জাতীয় অধ্যাপক ডা. এ কে আজাদ খান আরও বলেন, আমরা সবাই জানি, তামাক স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। তারপরও প্রতিনিয়ত মানুষ এই তামাকের দিকে ঝুঁকে পড়ছে। এর বড় কারণ হচ্ছে, তামাক কোম্পানীগুলোর রিক্রুটমেন্ট পলিসি। তাই চিকিৎসকদের তামাকের ক্ষতিকর দিকগুলো মানুষের মাঝে যথাযথভাবে তুলে ধরতে হবে। এজন্য প্রয়োজনে গবেষণা করে চিকিৎসকদের তামাকবিরোধী বার্তা জনগণের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে।

 

 

 

এর আগে সকাল ৯টায় প্লানেটারি হেলথ একাডেমিয়া (পিএইচএ) এবং প্ল্যাটফর্মের যৌথ আয়োজনে এবং ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর ও শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের সহযোগীতায় দেশের প্রথম মেডিকেল অলিম্পিয়াডের সেমিফাইনাল পর্ব শুরু হয়। এতে দেশের আটটি বিভাগ থেকে মোট ১৬টি দল অংশ নেয়।

 

 

 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় অধ্যাপক ডা. এ কে আজাদ খান, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের রোগতত্ত্ব ও গবেষণা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক সোহেল রেজা চৌধুরী, স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত চিকিৎসক ডা. কামরুল ইসলাম, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ কে এম আমিরুল মোরশেদ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. এ বি এম মাকসুদুল আলম, ডা. বাশার এম আতিকুজ্জামান, ডা. তাসবিরুল ইসলাম, ডা. চৌধুরি এইচ আহসান, ডা. শাকিল ফরিদ, ডা. নাসের খান প্রমুখ।

 

 

 

ডা. মৌরি জন্নাতের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গঠনে ই-সিগারেট, এক শলাকা সিগারেট বিক্রি বন্ধ ও রেস্টুরেন্টগুলোর নির্ধারিত ধূমপানজোন বন্ধ করার জন্য আইনে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনার জোর দাবি করা হয়।

 

 

 


প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৪, ২০২২ | সময়: ৮:১৫ অপরাহ্ণ | Daily Sunshine