সর্বশেষ সংবাদ :

নিখোঁজ বিনয় গোয়ালার লাশ উদ্ধারে হত্যা মামলা

স্টাফ রিপোর্টার: নওগাঁর মান্দায় নিখোঁজের ২দিন পর বিনয় চন্দ্র মন্ডল (৬৭) নামে এক গোয়ালের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহতের ছেলে বিশ^জিৎ কুমার মন্ডল বাদী হয়ে গত বৃহস্পতিবার রাতে ৩৪ পেনাল কোডের ৩০২ ও ২০১ ধারায় মান্দা থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
নিহতের পরিবারের লোজনের দাবি, তাকে পরিকল্পিতভাবে উক্ত স্থানে অথবা অন্য কোথাও শ^াসরোধ করে কিংবা অন্য কোন উপায়ে হত্যা করে ধান ক্ষেতে ফেলে রাখা হয়েছিলো। ওই ঘটনায় ন্যায় বিচারের আশায় মামলা দায়েরের পর থেকে অধ্যবধি একটি প্রভাবশালী মহল বিষয়টিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন তারা।
মামলায় উপজেলার মৈনম ইউনিয়নের দূর্গাপুর গ্রামের মৃত দশতুল্যার ছেলে তফসের আলী (৫৫) এবং তফসের আলীর ছেলে তারেক হোসেনের (২৮) নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৩-৪ জনকে আসামি করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নূর-এ আলম সিদ্দিকী বিপিএম বলেন, গত ২১ নভেম্বর সোমবার সকাল ১০ টার দিকে উপজেলার মৈনম ইউনিয়নের মধ্য দুর্গাপুর গ্রামের বাহারের গভীর নলকূপের পশ্চিম পাশের ধানক্ষেত থেকে বিনয় গোয়ালের লাশটি উদ্ধার করা হয়।
ওই ঘটনায় মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে তিনি আরো বলেন, ময়না তদন্তের রিপোর্ট পেলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য, নিহত বিনয় চন্দ্র মন্ডল একই ইউনিয়নের বিলদুবলা গ্রামের মৃত শ্রীকন্ঠ মন্ডলের ছেলে। গত ২১ নভেম্বর সকাল ১০ টার দিকে উপজেলার মৈনম ইউনিয়নের মধ্য দুর্গাপুর গ্রামের বাহারের গভীর নলকূপের পশ্চিম পাশের ধানক্ষেত থেকে তার লাশটি উদ্ধার করা হয়। পেশায় তিনি একজন গোয়াল ছিলেন। এর পাশাপাশি কবিরাজিও করতেন বলে জানা গেছে।
স্থানীয়রা জানান, দূর্গাপুর গ্রামের মাদকসেবী জুয়েল নামের এক ব্যক্তির স্ত্রী আঙ্গুরীর সাথে একই গ্রামের তফসের আলীর ছেলে তারেকের পরকিয়া চলছিল। বিষয়টি জানার পর জুয়েল তার সংসার টিকানোর জন্য বিনয় গোয়াল ওরফে বিনয় কবিরাজের সরনাপন্ন হন।
এরপর পরকিয়ার বিষয়টি বিনয় কবিরাজের মাধ্যমে তারেকের মা কে জানান জুয়েল। পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে উভয় পরিবারের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে গত ১৯ নভেম্বর শনিবার বেলা ১১ টার দিকে বিষয়টি প্রমাণের জন্য বিনয়কে তার বাড়ির পাশের একটি মাঠে ধান কাটার সময় মাঠ থেকে ডেকে আনেন তফসের এবং তার ছেলে তারেক। সেখানে যাওয়ার পর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন।
এরপর পরিবারের লোকজন অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার কোন সন্ধান না পাওয়ায় পরেরদিন রবিবার রাতে তার পরিবারের লোকজন মান্দা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
জিডি করার পরের দিন ২১ নভেম্বর সোমবার সকালে দূর্গাপুর মধ্যপাড়া গ্রামের কায়েজ উদ্দীনের ছেলে খাইরুল ইসলাম নামের এক কৃষক তার জমির ধান কাটতে গেলে জমির ভিতরে তার মরদেহ দেখতে পায়। পরে নিহতের পরিবারের লোকজনকে খবর দিলে পরিবারের লোকজন এসে লাশ শনাক্ত করেন। এরপর থানায় খবর দিলে ঘটনাস্থল থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।


প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৯, ২০২২ | সময়: ৫:৩৮ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ