সর্বশেষ সংবাদ :

তানোর মুক্ত দিবস আজ

টিপু সুলতান, তানোর: আজ ১৩ই ডিসেম্বর তানোর মুক্ত দিবস । ১৯৭১ সালে ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ ম–জিবর রহমানের ঐতিহাসিক মহান স্বাধীনতার ডাকে তানোর থানার মুক্তিযোদ্ধারা ১৪ই এপ্রিল উপজেলার কামারগাঁ মহারাজার কাচারি বাড়ির সামনে থেকে পাকিস্থানী পতাকায় আগুন লাগিয়ে দিয়ে পুড়িয়ে দেয় মুক্তিযোদ্ধারা। খবরটি চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লে পাকিস্থানী সেনারা মুক্তিযোদ্ধাদের এলাকায় তন্য তন্য করে খোজতে থাকে। তাদের ভয়ে মুক্তিযোদ্ধারা বিভিন্ন স্থানে লুকিয়ে পড়ে।
মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওহাব শেখ বলেন, সেই সময়ে আমরা মুক্তিযুদ্ধের ট্রেনিং নিতে ভারতের শিলিগুড়িতে চলে যায়। সেখান থেকে ট্রেনিং শেষে আমরা ১১জন মুক্তিযোদ্ধার গেরিলা গ্রুপে রাতের অন্ধকারে ১৪ই আগষ্ট তানোর থানার বাতাসপুর রাজাকার ক্যাম্পে আক্রমন করি। তার ১৫দিন পর কামারগাঁ রাজাকার ক্যাম্প ও তালন্দ জমিদার বাড়ির ক্যাম্পে আক্রমন করি। রাজাকাররা সব সময় আতংকে থাকতো। রাজাকাররা বিভিন্ন স্থান থেকে সাধারণ মানুষদের ধরে কামারগাঁ দোলায়পুকুর ও তালন্দ তাতাল কুড়ীর মধ্যে গুলিকরে মেরে পুতে রাখতো ।
দুই এক দিন পর পর পাকবাহিনী ও রাজাকারদের উপর আমরা অতরর্কৃত হামলা চালাতাম। যুদ্ধ শেষ পর্যায়ে ডিসেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহের দিকে পাকহানাদার বাহিনী ও রাজাকাররা পালিয়ে রাজশাহী শহরে চলে যায়।
১৩ই ডিসেম্বর পাকহানাদার বাহিনী ও রাজাকার মুক্ত হিসাবে ঘোষনা করা হয়। সেই দিন কামারগাঁ মহারাজার কাচারি বাড়ি, তালন্দ জমিদার বাড়ির সামনে ও তানোর সদরে বাংলাদেশের ম্যাপ অঙ্কিত পতাকা উত্তোলন করা হয়।
দেশ স্বাধীন হলেও রাজাকাররা আজও বহাল তবিয়তে বাংলার মাটিতে ঘুরে বেড়াচ্ছে। ৩০ লক্ষ শহীদের প্রাণের বিনিময়ে আমরা স্বাধীন বাংলা পেয়েছি। সেই থেকে ১৩ই ডিসেম্বর তানোর মুক্ত দিবস হিসাবে ধরা হয়।


প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৩, ২০২২ | সময়: ৫:৪৭ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ

আরও খবর