সর্বশেষ সংবাদ :

‘১০ ডিসেম্বর কিছুই হবে না’ নাসির আহম্মেদ বিদ্যুতের বিবৃতি

বিএনপি তাদের জনসভায় যেসব বক্তৃতা দিচ্ছেন তাতে মনে হয় ক্ষমতা ওরা পেয়েই গেছেন। আবার হুংকারও দেন সেমিফাইনাল- ফাইনাল খেলার। সাধারন জনগন বলছে সেমিফাইনাল পার করতে পারলেন না, ফাইনালতো অনেক দূরে। মনে রাখবেন বাংলার জনগনের নেত্রী,আমাদের দার্শনিক নেত্রী,বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আপনারা নির্বিঘ্নে মিটিং মিছিল করতে পারছেন। একটা বোমাও ফুটে নাই,একটা লাঠির আঘাতের ঘা কারো শরীরে পড়ে নাই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এই উদারতাকে যদি দুর্বলতা মনে করেন তবে বোকার স্বর্গে বাস করছে বিএনপি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অতীতে অনেক ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করেছেন। বিএনপির ষড়যন্ত্র বাংলার জনগন ও তার অগনিত নেতাকর্মি নিয়ে তা মোকাবেলা করা হবে।
কথায় আছে ‘‘যত গর্জে ততো বর্ষে না’’। আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের পতন ঘটাবেন এতো সহজ নয়। আন্দোলনের কতগুলো পদক্ষেপ থাকে। আমার মনে পড়ে ১৯৭৪ সালের ১৮ই জানুয়ারি মহান শিক্ষা গুরু জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিলে এক ঐতিহাসিক মন্তব্য করেছিলেন। আন্দোলন কিভাবে গড়ে তুলতে হয় এ বিষয়ে তিনি বলেছিলেন‘ আন্দোলন গাছের ফল নয়,আন্দোলন মুখ দিয়ে বকললেই করা যায় না,আন্দোলনের জন্য জনমত তৈরি করতে হয়,আন্দোলনের জন্য আদর্শ থাকতে হয়,আন্দোলনের জন্য নি:স্বার্থ কর্মি থাকতে হয়। ত্যাগী মানুষ থাকা দরকার আর সর্বোপরি জনগনের সংঘবদ্ধ ও ঐক্যবদ্ধ সর্মর্থনথাকা দরকার’’।
বিএনপির কোনটাই নেই। তাই ১০ ডিসেম্বর দেশে কিছুই হবেনা। বরঞ্চ বিএনপির নেতাকর্মিরা ১০ ডিসেম্বরের পর চরম হতাশ হবে। তাদের অস্থিরতা থেকেই ১ বছর পর ভোট হওয়া পর্যন্ত ধৈর্য রাখতে পারবেনা। অধৈর্য্য অবস্থান থেকে তারা নানামুখি কাজ করবে। গুজবে কান দিবে। বিএনপিকে সামলাতে আওয়ামী লীগকে কিছুই করতে হবে না। তার আগেই বিএনপি মাঠ থেকে সরে পড়বে।
লেখক : বাংলাদেশ ছাত্রলীগ রাজশাহী জেলা শাখার সাবেক সাধারন সম্পাদক।


প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৮, ২০২২ | সময়: ৬:৩৩ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ