সর্বশেষ সংবাদ :

ব্যক্তিগত অর্জন উদযাপনের সময় নেই মেসির

স্পোর্টস ডেস্ক: পেশাদার ফুটবলে এক হাজারতম ম্যাচ খেলে ফেললেন লিওনেল মেসি। বিশ্বকাপের শেষ ষোলোতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এই মাইলফলক স্পর্শ করেন। ম্যাচটি তিনি স্মরণীয় করে রাখেন বাঁ পায়ের জাদুকরী গোলে। সঙ্গে এসেছে স্বস্তির জয়। কোয়ার্টার ফাইনালে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে লড়াই নিশ্চিত করেছে আর্জেন্টিনা। এই সাফল্যের পরও নিজের মাইলফলক উদযাপনে অনীহা সাতবারের ব্যালন ডি’অর জয়ীর।
প্রথমার্ধে সকারুদের জালে চমৎকার শটে বল জড়ান মেসি। পরে জুলিয়ান আলভারেজ ব্যবধান বাড়ালেও অস্ট্রেলিয়া এক গোল শোধ দিয়ে সমতা ফেরানোর আভাস দেয়। শেষ পর্যন্ত আর্জেন্টিনার বিপক্ষে অঘটন ঘটাতে পারেনি সকারুরা। গ্রুপ পর্বে পোল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ ম্যাচ খেলার মাত্র দুই দিন পরই আবার মাঠে নামতে হয়েছিল আর্জেন্টিনাকে। সকারুদের বিপক্ষে তাদের ম্যাচটি ছিল শারীরিক পরীক্ষা, বললেন মেসি, ‘আমি আরেকটি ধাপ এগিয়ে যাওয়ায় ও উদ্দেশ্য অর্জন করায় খুশি। এটা ছিল খুব শক্তিশালী ও কঠিন ম্যাচ, আমরা জানতাম এভাবেই এই ম্যাচটি হতে যাচ্ছে। বিশ্রাম নেওয়ার খুব বেশি সময় পাইনি আমরা এবং আমরা অবগত ছিলাম যে এটা হতে যাচ্ছে শারীরিক লড়াই এবং তারা ছিল খুব শক্তিশালী।’
মেসি এই ম্যাচে গোল করে বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ গোলের তালিকায় ডিয়েগো ম্যারাডোনাকে পেছনে ফেলেন। নবম গোল করেছেন তিনি, বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি গোল করা আর্জেন্টাইনের তালিকায় এখন তার উপরে কেবল গ্যাব্রিয়েল বাতিস্তুতা (১০)। একহাজারতম ম্যাচে ম্যারাডোনাকে টপকে যাওয়া। দুই দুটি সাফল্য উদযাপন করতে যাচ্ছেন কি না এক সাংবাদিকের এই প্রশ্নে মেসি বললেন, ‘না, সত্যিই না। এটা ছিল কঠিন খেলা। অনেক কঠিন। আমরা বেশি বিশ্রাম পাইনি, ভালোভাবে তৈরি হতে পারিনি। এটা ছিল খুবই শারীরিক খেলা।’
বিশ্বকাপে প্রথমবার নকআউটে গোল করার পর মেসি বলেন, ‘যখন আমরা জানতে পারলাম, তিন দিনের মধ্যে আবার খেলতে হবে, আমরা বললাম এটা অদ্ভুত এবং যথেষ্ট বিশ্রাম পাবো না। একই সময়ে আমরা এখানে থাকতে চেয়েছিলাম, কেমন অনুভূতি হয় দেখার জন্য। আমাদের ভক্তদের জন্য।’ লুসাইল আইকনিক স্টেডিয়ামে আগামী ৯ ডিসেম্বর কোয়ার্টার ফাইনালে নেদারল্যান্ডসের মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনা।


প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৫, ২০২২ | সময়: ৫:৫২ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ