মনোনয়নপত্র কেনার পর প্রার্থী জানলেন তিনি ওই ওয়ার্ডের ভোটারই নন

বড়াইগ্রাম প্রতিনিধি: নাটোরের বড়াইগ্রামের মাঝগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র কেনার পর লালন নামে এক প্রার্থী জানলেন তিনি ওই ওয়ার্ডের ভোটারই নন। অথচ গত বছর তিনেক ধরে তিনি নির্বাচন সামনে রেখে জনসংযোগ চালিয়েছেন। নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তপসিল অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ে মনোনয়নপত্রও কিনেছেন। কিন্তু মনোনয়নপত্র কেনার পর দেখলেন, ওই এলাকার ভোটার তালিকায় তার নামই নেই। তার অজান্তেই পাশের উপজেলায় তার ভোটার স্থানান্তর করা হয়েছে। ভূক্তভোগী প্রার্থী এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনে আবেদনসহ আইনী ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।
লালন উপজেলার বাহিমালি গ্রামের মৃত মো: জয়নাল আবেদিনের ছেলে। তিনি মাঝগাঁও ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডে ইউপি সদস্য পদে মনোনয়ন পত্র উত্তোলন করেছেন। আগামী ২৯ ডিসেম্বর বড়াইগ্রাম উপজেলার মাঝগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তপসিল অনুযায়ী, আগামী ১ ডিসেম্বর মনোয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন।
লালন জানান, তিনি ইউপি সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য প্রায় তিন বছর থেকে জনসংযোগ করছেন। নির্বাচনী প্রক্রিয়া শুরু হওয়ায় বৃহস্পতিবার তিনি মনোনয়ন ফরম কেনেন। কিন্তু ফরমের সঙ্গে দেয়া ভোটার তালিকায় নিজের ভোটার নম্বর খুঁজতে গিয়ে পাননি। এরপর উপজেলা নির্বাচন অফিসে যোগাযোগ করে তিনি জানতে পারেন যে, ২০২১ সালে লালপুর উপজেলার ওয়ালিয়া ইউনিয়নের দিলালপুর গ্রামে তার ভোটার স্থানান্তর করা হয়েছে। তবে লালনের দাবি, তিনি ভোটার স্থানান্তরের জন্য কোথাও কোন আবেদন করেননি। এ ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না। নির্বাচন থেকে তাকে বিরত রাখতে কেউ ষড়যন্ত্র করে এমনটি করেছে বলে তার দাবি।
এ ব্যাপারে মাঝগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আলিম বলেন, এ ইউনিয়ন থেকে কোন ভোটার অন্য ইউনিয়নে যেতে চাইলে আমার প্রত্যয়ন লাগে না। তাই বিষয়টি আমার জানা নেই। লালপুরের ওয়ালিয়া ইউনিয়নের তৎকালীন চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান বলেন, কোন ভোটার আমার এলাকার ভোটার হতে চেয়ে প্রত্যয়ন চাইলে নিয়মানুযায়ী তা দিতে হবে। স্থানীয় ইউপি সদস্য স্বাক্ষরিত ফরমে আবেদন করায় আমি প্রত্যয়ন দিয়েছি। তবে স্থানীয় ইউপি সদস্য জাহিদ আলী বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা হাসিব বিন শাহাব বলেন, নির্বাচনের চূড়ান্ত ভোটার তালিকা চলে এসেছে। তফশীলও হয়ে গেছে। এখন এ তালিকা সংশোধন করা আমার এখতিয়ারের বাইরে। তারা নির্বাচন কমিশনে যোগাযোগ করে দেখতে পারেন।


প্রকাশিত: নভেম্বর ১৯, ২০২২ | সময়: ৬:২৭ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ