রাজশাহীতে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা : উজ্জীবীত উত্তরের আওয়ামী লীগ

স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদ্রাসা মাঠের জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাষনের পর রাজশাহীসহ উত্তরাঞ্চলের আওয়ামী লীগ এখন দারুনভাবে উজ্জীবীত। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা আর নেতায় নেতায় অন্ত:দ্বন্দ্ব দূর করে ঐক্যবদ্ধ হলে পুরো রাজশাহী অঞ্চলে আওয়ামী লীগের ভিত আরো শক্তিশালী হবে বলে আশা করছেন স্থানীয় নেতাকর্মীরা। তারা বলেছন, প্রধানমন্ত্রীর রাজশাহীর জনসভা সর্বকালের স্মরণীয় ও ঐতিহাসিক হয়েছে।
রাজশাহীসহ পুরো উত্তরাঞ্চলের লাখো মানুষের অংশ গ্রহণে এ জনসভা সফলভাবে অনুষ্ঠিত হওয়ার পর নেতাকর্মীরা দারুণভাবে উজ্জীবীত হয়েছে। আগামী জাতীয় নির্বাচনের জন্য আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার জনসভায় দেওয়া বার্তা মাঠ পর্যায়ে কাজে লাগবে। এখন শীর্ষ নেতাদের মধ্যে ঐক্য ফিরে আসলে আগামীতে এ অঞ্চলে আওয়ামী লীগের কোনো আসন হারাবে না। সবকিছু ভুলে স্থানীয় নেতারা এখন প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশিত পথে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার চেষ্টা করছেন। যদিও তারা বলছেন, এখন তাদের মধ্যে কোনো কোন্দল নেই। পুরো উত্তরের আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ রয়েছে।
স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতানা বলছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজশাহীর জনসভা ঘিরে উজ্জীবীত আওয়ামী লীগ। তার প্রমান মিলেছে রবিবারের জনসভায় নেতাকর্মীর পাশাপাশি সাধারণ মানুষের উপস্থিতি। জনসভার পর এখন নতুন করে প্রাণের সঞ্চার হয়েছে উত্তরাঞ্চলের আওয়ামী লীগে। জাতীয় নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রীর রাজশাহীর জনসভা খুবই গুরুত্বপুর্ণ হিসেবে নিয়ে জেলায় জেলায় এখন নতুন করে আরো সংগঠিত হবে আওয়ামী লীগ।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, উত্তরাঞ্চলের আওয়ামী লীগ এমনিতেই অনেক শক্তিশালীও সুসংগঠিত। বিশেষ করে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য হওয়ার পর পুরো উত্তরাঞ্চলের আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর রাজশাহীর জনসভার পর নেতাকর্মীদের মধ্যে আরো শক্তি সঞ্চারিত হয়েছে। উজ্জীবীত হয়ে উঠেছেন নেতাকর্মীরা।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগাঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন বলেন, রাজমাহীতে এবারের প্রধানমন্ত্রীর জনসভা হয়েছে অতিতের স্মরণকালের। এ জনসভা রূপ পেয়েছে ইতিহাসের মহাজনসমুদ্রে। তাই এখন নেতাকর্মীদের মাঠ পর্যায়ে উজ্জীবীত। এখন নেতাদের মধ্য দ্বন্দ্ব নিরসন করে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, জনসভার পর রাজশাহীসহ উত্তরের আওয়ামী লীগের নেতাদের মধ্যেও নতুন করে শক্তি সঞ্চারিত হয়েছে। এ শক্তি ধরে রাখতে এখন নেতাদের মধ্যে কোনো দ্বন্দ্ব থাকলে তা নিরসন করে সামনে এগুতে হবে।
রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগাঠনিক সম্পাদক মীর ইসতিয়াক অহমেদ লিমন বলেন, এ অঞ্চলে বর্তমান সরকারের আমলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত করেছেন। মানুষ এখন আওয়ামী লীগের ওপর আস্থা রাখতে পারছেন। জনগনের এ আস্থা ধরে রাখতে রবিবারের জনসভায় আওয়ামী লীগে নতুনমাত্রা যোগ হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অনুসরন করে তারা আরো শক্তিশালী হয়ে মাঠে কাজ করবেন। নেতাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। কর্মীদের মূল্যায়নের বিষয়ও শীর্ষ নেতাদের ভাবতে হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, শেখ হাসিনার জন্য এতো উন্নত দেশ আমরা পেয়েছি। শেখ হাসিনা না থাকলে হয়তো বাংলাদেশ ভঙ্গুর অর্থনীতির দেশ হতো। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বাধীনতা দিয়েছেন। আর শেখ হাসিনা দেশকে গড়ছেন। বাংলাদেশ এখন সুন্দর সমৃদ্ধ-উন্নত দেশ। উন্নয়নের শিখরে পৌছে গেছে বাংলাদেশ। আমরা আরো অনেক দূর যেতে চায়। আমরা প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় তার দেওয়া নির্দেশিত পথে এগুতে চাই।
প্রধানমন্ত্রীর রাজশাহীর ঐতিহাসিক জনসভা সফল হওয়ায় রাজশাহীসহ উত্তরাঞ্চলের সকল জেলা ও উপজেলার নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞা প্রকাশ করেছেন লিটন। তিনি বলেন, সর্বস্তরের লাখ লাক মানুষের স্বত:স্ফুর্ত অংশ গ্রহনে স্মরনকালের সর্বশ্রেষ্ট ঐতিহাসিক জনসভা হয়েছে রাজশাহীতে। তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের জনসভায় স্বত:স্ফর্ত অংশগ্রহনে প্রতিয়মান হয়েছে দেশের উন্নয়নে তারা নৌকার পক্ষে, আওয়ামী লীগের পক্ষে রয়েছেন।
তিনি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের এখন থেকে আরও সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর রাজশাহীর জনসভা পুরো রাজশাহী বিভাগের জন্য ছিলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা প্রমাণ দিয়েছি, শেখ হাসিনার ডাকে জনগণ প্রস্তুত আছে।


প্রকাশিত: জানুয়ারি ৩১, ২০২৩ | সময়: ৬:৪৮ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ