চলনবিলে মাছ শিকারের মহোৎসব

তাড়াশ প্রতিনিধি: তাড়াশ উপজেলার চলন বিলে পলো, বাইচ, ও হাত দিয়ে মাছ ধরার মোহ উৎসবে মেতে উঠেন স্থানীয় এলাকার ৩০০ থেকে ৪০০ মানুষ। দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে এই বিলে পলো বাইচ দিয়ে মাছ শিকার করা হয়। চলন বিলের মানুষের প্রত্যেক বর্ষার মৌসুমে এই মাছ ধরার মহো উৎসব পালন করে থাকে।
সকাল থেকে শুরু করে বিকেলে পর্যন্ত উপজেলার মাগুরা বিনোদ ইউনিয়নের চর নন্দু গ্রামের চলন বিলের বিলে এই পলো বাইচ ও হাত দিয়ে বিলের মাছ ধরতে দেখা যায়। স্থানীয়রা জানান, ২০০১ সালের থেকে চর নন্দু গ্রামের চলন বিলে পলো হাত দিয়ে জাল দিয়ে শুরু হয়েছে এই মহোৎসব। বর্ষার প্রথম থেকে শুরু করে শেষ পর্যন্ত এই মাছ ধরার উৎসব চলতে থাকে।
আশপাশের কয়েক গ্রামের প্রায় ৩০০ থেকে ৪০০ মাছ শিকারী প্রায় প্রত্যেকদিন স্বীকার করতে থাকে।এতে ধরা পড়ে পলোতে বোয়াল, শোল, মাগুর,টেংরা, পুটি, গুছি, বাইম, শিং টাকি ও গজারসহ বিভিন্ন দেশীয় প্রজাতির সুস্বাদু মাছ।
চর নন্দী গ্রামের শরিফ উদ্দিন বলেন, ২০০১ সালে এ বিলে মাছ ধরা শুরু হয় এ বছরে মাছ কম থাকলেও বিলে যথেষ্ট পরিমাণ তারা মাছ ধরেছে। আমরা ৫ ভাই মিলে বোয়াল, শোলসহ বিভিন্ন জাতের মাছ শিকার করি এবং অনেক আনন্দ পাই। স্থানীয় ইউপি সদস্য ইব্রাহিম মিধা জানান, যুগ-যুগ ধরে গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহি পলো দিয়ে, হাত দিয়ে, জাল দিয়ে,বরশি দিয়ে,এই মাছ শিকার করা হয়। স্থানীয় চলন বিলে প্রত্যেক মৌসুমে এই মাছ ধরা দৃশ্য দেখা যায়। এই বছরে বিলে পানি সংকট ও মাছের আকাল থাকায় পলো সকল মাছ শিকারীদের মন খারাপ হয়েছে বল ইব্রাহিম মিনহা জানান।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ম্যাগনেট আহমেদ ও বিশিষ্ট সাংবাদিক নাহিদ আহমেদ বলেন, পলো, বাইচ, হাত দিয়ে হাতিয়ে, আমাদের সংস্কৃতির একটি উল্লেখযোগ্য অংশ। এবার বন্যা হওয়ায় চলন বিলের খাল-বিলে মাছের উৎপাদন বেড়েছে। এই হারিয়ে যাওয়া সংস্কৃতির পলো দিয়ে,হাত দিয়ে হাতিয়ে,জাল দিয়ে, এই ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে হবে। ও জেলার বিভিন্ন এলাকার মাছ শিকার করতে মাছ শিকার পারবে।


প্রকাশিত: নভেম্বর ১৬, ২০২২ | সময়: ৫:৪৭ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ