শিক্ষাব্যবস্থা রূপান্তরের মূল হাতিয়ার শিক্ষক: শিক্ষামন্ত্রী

সানশাইন ডেস্ক: শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, ‘আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় যে ব্যাপক পরিবর্তন চাইছি, তার জন্য শিক্ষক গুরুত্বপূর্ণ। আমরা পরিবর্তন বা সংস্কারের কথা নয় বরং রূপান্তরের কথা বলছি। এই রূপান্তরের মূল হাতিয়ার হচ্ছেন শিক্ষক।’ শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মার্কেটিং অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের (ডিইউএমএএ) উদ্যোগে মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী।
এ সময় অনুষ্ঠানে বিভিন্ন শিক্ষাবর্ষের ৫২ শিক্ষার্থীকে ‘এমজিআই-মার্কেটিং অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন স্কলারশিপ’ প্রদান করা হয়। প্রধান অতিথির বক্তব্যে দীপু মনি বলেন, ‘আমাদের শিক্ষকদের এমন শিক্ষক হতে হবে, যার কাছ থেকে শিক্ষার্থীরা অনুপ্রেরণা পায়, যিনি শিক্ষার্থীদের মন বোঝেন, যিনি শিক্ষার্থীদের আলোকিত পথের দিশা দেন, যাকে দেখে শিক্ষার্থীরা অনুপ্রাণিত হয়।’
মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী হওয়াও একটা গর্বের বিষয় উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘এখন সবকিছুতেই মার্কেটিংয়ের প্রয়োজন হয়। এটি এমন একটি বিষয়, যা গোটা জগৎকে চালাচ্ছে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী যখন সবাইকে উদ্যোক্তা হওয়ার কথা বলছেন, সেখানে অধ্যাপক মীজানুর রহমানের মতো শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের হাতে-কলমে উদ্যোক্তা হওয়ার মন্ত্র নিয়মিত শিখিয়ে যাচ্ছেন।’
ডিইউএমএএর সহসভাপতি সালাউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল। অনুষ্ঠানে শিক্ষকতার ৪০ বছর পূর্তি উপলক্ষে মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমানকে সম্মাননা প্রদান করা হয়।
বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানিয়ে মাকসুদ কামাল বলেন, ‘আজ শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদানের মাধ্যমে পড়াশোনার জন্য উৎসাহ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে একজন শিক্ষাগুরুকে সম্মাননা দেওয়া হচ্ছে। মীজানুর রহমান, যিনি তার কাজের মাধ্যমে একটি প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছেন। আমি প্রত্যাশা করবো যেসব শিক্ষার্থী বৃত্তি পেলো, এই বৃত্তির প্রত্যয় তাদের জীবনে প্রেরণা হয়ে থাকবে। এই প্রত্যয় তাদের আগামী দিনে পথচলায় সাহস জোগাবে একজন পরিপূর্ণ মানুষ হওয়ার জন্য।’
তিনি আরও বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সবদিক থেকে উন্মুক্ত। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ফুল আছে, এই বিশ্ববিদ্যালয়ে কাঁটাও আছে। তোমাদের অভিভাবকরা তোমাদের পাশে নেই। তোমরা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের যেখানে ফুলের সৌরভ (ভালো জিনিস) পাবে, সেটিই তোমরা বেছে নেবে এবং তোমাদের জীবনকে মহিমান্বিত করবে।’
অধ্যাপক মীজানুর রহমান অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন, ‘আমি শিক্ষক। শিক্ষকতা আমি পছন্দ করেই করি। আমার শিক্ষকতার জীবনে আমি ছাত্র-ছাত্রীদের সবকিছুর প্রেক্ষাপট ধরে ধরে শিখাতাম, যাতে খণ্ডিত জ্ঞান শিক্ষার্থীরা অর্জন না করেন। এতে তারা একটা বিষয় সম্পর্কে পূর্ণ ধারণা পেতো। আমি যেখানেই যাই এই মার্কেটিং বিভাগেই ফিরে আসতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি কারণ এটাই আমার ভিত্তি। আমি বিভাগের প্রতি, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। সবার দোয়া প্রার্থী।’
এরপর কেক কেটে অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমানের শিক্ষকতা জীবনের ৪০ বছর পূর্তি উদযাপন করা হয়। এ সময় তাকে নিয়ে লেখা ‘শিক্ষকতার ৪০ বছর’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। পরে বিকালে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উদযাপিত হয়।


প্রকাশিত: নভেম্বর ৬, ২০২২ | সময়: ৬:০৭ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ