সর্বশেষ সংবাদ :

বাগমারায় প্রতিপক্ষের হামলায় আহত কৃষকের অভিযোগ নথিভূক্ত করেনি পুলিশ

স্টাফ রিপোর্টার, বাগমারা: ঘটনার তিন দিন অতিবাহিত হলেও রাজশাহীর বাগমারায় গনিপুর ইউনিয়নের রঘুপাড়া গ্রামের কৃষক মাইনুল ইসলাম (৩৪)কে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করার অভিযোগটি এখনো এজাহার হিসেবে থানায় নতিভুক্ত করেনি বাগমারা থানার পুলিশ। ওই ঘটনার পর থেকেই মাইনুল ইসলাম তার পরিবার পরিজন নিয়ে চরম আতংকের মধ্যে রয়েছেন বলে জানা গেছে।
থানার লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ২ নভেম্বর দুপুরে মাইনুল ইসলাম বাড়ির পাশের বিল থেকে খড়ের বোঝা মাথায় নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। তিনি রঘুপাড়া গ্রামের নিজ বাড়ির কাছে আসলে প্রতিপক্ষ রবিউল ইসলাম (৩০) ধারালো দেশীয় অস্ত্র ও লোহার রড দিয়ে পিছন থেকে তার মাথায় আঘাত করে। এ সময় মাইনুল ইসলাম মাটিতে লুটিয়ে পড়লে রবিউল ইসলাম তাকে এলোপাতাড়ি ভাবে পিটাইতে থাকে। এক পর্যায়ে মাইনুল ইসলামের মাথা ফেটে রক্তাক্ত অবস্থায় জ্ঞান হারিয়ে ফেললে রবিউল ইসলাম ঘটনাস্থল থেকে চলে যায়। স্থানীয় লোকজন মাইনুল ইসলামের বাড়িতে খবর দিলে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে।
ওই ঘটনার পর থেকেই দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ওই ঘটনায় ২ নভেমম্বর রাতেই মাইনুল ইসলামের বড় ভাই ইসরাফিল ইসলাম বাদী হয়ে রবিউল ইসলামকে আসামী করে বাগমারা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। আহত মাইনুল ইসলামের মাথায় ১৮ টি সেলাই দেয়া হয়েছে বলে বাগমারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মাইনুল ইসলাম বলেন, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে রবিউল ইসলাম বেশ কিছু দিন থেকে আমাকে হত্যার চেষ্টা চালিয়ে আসছে। সুযোগ বুঝে গত বুধবার দুপুরে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো দেশীয় অস্ত্র ও লোহার রড দিয়ে হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এই ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনার জন্য আসামী রবিউল ইসলামের শাস্তির দাবী জানায়। অবিলম্বের আসামী রবিউল ইসলামকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার জন্য আইন শৃংখলা বাহিনীর প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে বাগমারা থানার ওসি রবিউল ইসলাম বলেন, বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। অল্প সময়ের মধ্যে ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত আসামীকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।


প্রকাশিত: নভেম্বর ৬, ২০২২ | সময়: ৬:০৩ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ