আক্কেলপুরে পিতা ও পুত্রকে ছুরিকাঘাত, আটক ১

আক্কেলপুর প্রতিনিধি: জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে পারিবারিক কলহের জের ধরে চিকিৎসা শেষে থানায় অভিযোগ দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে প্রতিবেশীর ছুরিকাঘাতে পিতা ও পুত্রের গুরুত্বর আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাটি উপজেলার গোপিনাথপুর ইউনিয়ন পরিষদের কমপ্লেক্সের উত্তর পাশের্^ ঘটেছে। জনগণের হাতে আটক হয়ে প্রতিবেশী ঘাতক পুলিশ পাহারায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
ছুরিকাঘাতে আহত পিতা-পুত্র হলেন ওই ইউনিয়নের হড়িসারা গ্রামের মাসুদ রানা (২৩) ও পিতা নাসির উদ্দীন (৪০)। ঘাতক একই গ্রামের আফসারের ছেলে মিঠু (২২) এবং তার সহযোগী খালাতো ভাই নুরুল ইসলামের ছেলে ফরহাদ (২৩)। এ ঘটনার পর থেকেই ফরহাদ পলাতক রয়েছে।
স্থানীয়, হাসপাতাল ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নাসির উদ্দীন ও প্রতিবেশী মিঠরু পারিবারিক বিরোধের জের ধরে রবিবার একটি শালিস হওয়ার কথা ছিল। শালিসের পূর্বেই দুই পরিবার বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এতে মাসুদ রানা ও তার পিতা নাসির উদ্দীন আহত হয়। পরে তারা আক্কেলপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়ে থানায় অভিযোগ করে বাড়ি ফেরার পথে রবিবার রাত সাড়ে ৯টায় আফসারের ছেলে মিঠু এবং তার সহযোগী খালাতো ভাই নুরুল ইসলামের ছেলে ফরহাদ গোপিনাথপুর ইউনিয়ন পরিষদের উত্তরে হিমাগারের নিকট আক্কেলপুর-বগুড়া সড়কের উপর তাদের ছুরি দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে। এতে মাসুদ রানা ও পিতা নাসির উদ্দীন গুরুত্ব আঘাত হয়। পরে স্থানীয়রা মাসুদ রানা কে ঘটনাস্থল থেকে এবং তার পিতা নাসির উদ্দীনকে পাশের্^ই হওয়া একটি ওয়াজ মাহফিল থেকে উদ্ধার করে আক্কেলপুর উপজেলা স¦াস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। এঘটনায় স্থানীয়দের হাতে ঘাতক মিঠু ছুরিসহ আটক হয়ে মারধরের স্বীকার হয়। পরে স্থানীয়রা তাকেও চিকিৎসার জন্য আক্কেলপুর উপজেলা স¦াস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। খবর পেয়ে আক্কেলপুর থানা পুলিশ হাসপাতালে আসলে মিঠুকে ছুরিসহ স্থানীয়রা হস্তান্তর করে। ঘটনার পর থেকেই ফরহাদ পলাতক রয়েছে।
ঐ গ্রামের বাসিন্দা সিদ্দিক বলেন,‘সন্দেহের জেরে দুই পরিবারের একটি দ্বন্দ চলছিল। রবিবার একটি শালিস হওয়ার কথা ছিলো। শালিসের পূর্বেই তারা মারামারিতে জড়িয়ে পড়্ থোনা থেকে আসার পথে বাবা ও ছেলেকে ছুরি দিয়ে আঘাত করা হয়।’ ঘাতক মিঠু জানায়,‘ নাসির উদ্দীন বিভিন্ন সময় তার মাকে জালাতন করত। এ নিয়ে বিচার হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই তারা আমাদের মারধর করে। পরে তারাই থানায় অভিযোগ করে। থানা থেকে আসার পথে তারাই আবার আমাকে প্রথমে মারে। আমি তাদের ছুরি মারিনি।’
এবিষয়ে আক্কেলপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আবু বক্কর সিদ্দীক বলেন, ‘এঘটনায় থানায় এখনও কোনো অভিযোগ হয়নি। বর্তমানে মিঠু থানা পুলিশের হেফাজতে আছে।’


প্রকাশিত: নভেম্বর ১, ২০২২ | সময়: ৬:৩২ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ