সর্বশেষ সংবাদ :

রাবিতে চিহ্নমেলার পঞ্চম আসর শুরু

স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হয়েছে দুই দিনব্যাপী ‘চিহ্নমেলা মুক্তবাঙলা-২০২২ আয়োজন। বাংলা সাহিত্য বিষয়ক ছোটকাগজ ‘চিহ্ন’ পঞ্চমবারের মতো এই মেলার আয়োজন করেছে। বর্ণাঢ্য এই আয়োজনে দুই বাংলার লেখক ও পাঠকদের মহাসম্মিলন ঘটেছে।
প্রথম দিনই কবিতাপ্রেমী, সাহিত্য ও সংস্কৃতিমনা মানুষের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে রাবি। ক্যাম্পাসের ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ একাডেমিক ভবনের সামনে এই মেলা প্রাঙ্গণ নতুনভাবে প্রাণ পেয়েছে। সোমবার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. মু. শহীদুল্লাহ একাডেমিক ভবন প্রাঙ্গণে এ মেলার উদ্বোধন করেন পশ্চিম বাংলার প্রখ্যাত লিটলম্যাগ ব্যক্তিত্ব সন্দীপ দত্ত। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের স্বনামধন্য কবি নির্মলেন্দু গুণ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে সনৎকুমার সাহা, জুলফিকার মতিন, রুহুল আমিন প্রামাণিক, ইমানুল হক ও মোহাম্মদ আজম উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধনী বক্তৃতার পর বেলুন-ফেস্টুন উড়িয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে দুই দিনব্যাপী এই মেলার উদ্বোধন করা হয়। পরে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
মেলার মূল অনুষ্ঠানের প্রথমেই প্রয়াত প্রথিতযশা লেখকদের স্মরণ করা হয়। বাংলা একাডেমির পরিচালক আমিনুর রহমান সুলতানের সঞ্চালনায় ‘প্রয়াত-প্রিয়জন’ শীর্ষক পর্বে প্রয়াত শঙ্খ ঘোষ, সৈয়দ শামসুল হক, দেবেশ রায়, আনিসুজ্জামান ও হাসান আজিজুল হকের স্মৃতিচারণ করেন কবি নির্মলেন্দু গুণ, বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক সনৎকুমার সাহা, জুলফিকার মতিন, রুহুল আমিন প্রামাণিক, ইমানুল হক ও অমল সরকার।
মেলার প্রথম দিন ‘সৃষ্টিশীলতার সমাজতত্ত্ব ও লিটলম্যাগ’ নিয়ে একক বক্তৃতা দেন প্রাবন্ধিক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম। অনুবাদ প্রসঙ্গ নিয়ে কথাসাহিত্যিক মোজাফ্ফর হোসেনের সঞ্চালনায় কথা বলেন আলম খোরশেদ, শরীফ আতিক-উজ-জামান, সফিকুল ইসলাম, প্রত্যয় হামিদ ও মুহম্মদ মুহসীন।
মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) মেলার দ্বিতীয় দিনে বাংলাদেশের ‘তৃতীয় চোখ’ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ‘নৌকো’ পত্রিকাকে ‘চিহ্ন লিটলম্যাগ সম্মাননা’ দেওয়া হবে। ‘চিহ্ন সাহিত্য পুরস্কার’ দেওয়া হবে কথাসাহিত্যিক হামিদ কায়সারকে। আর কবি জুলফিকার মতিনকে ‘চিহ্ন সারস্বত সম্মাননা’ দেওয়া হবে। মেলায় প্রতিদিন সন্ধ্যায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজিত হবে।
রাবির বাংলা বিভাগের অধ্যাপক শহীদ ইকবালের সম্পাদনায় ‘চিহ্ন’ প্রায় দুই দশক ধরে নিয়মিত বের হচ্ছে। পত্রিকাটি ২০১১ সালে দেশের লেখক-পাঠক-সম্পাদকদের নিয়ে প্রথমবারের মতো চিহ্নমেলার আয়োজন করে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৩ সাল থেকে প্রতি তিন বছর পরপর নিয়মিত এই মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
এবারের আসরে দেশি-বিদেশি প্রায় ১৭০টি লিটল ম্যাগাজিন, ১০৫টি পত্রিকাসহ চার শতাধিক লেখক-পাঠক-সম্পাদক অংশ নেয়। বন্ধুপ্রতীম প্রতিবেশী দেশ ভারতের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বাংলা ভাষাভাষী প্রায় দেড় শতাধিক লেখক, সম্পাদক ও তাত্ত্বিক এতে অংশ নিয়েছেন মেলায়। মেলায় ১৭০টি স্টল বসেছে।


প্রকাশিত: অক্টোবর ১৮, ২০২২ | সময়: ৬:৪৮ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ