বাগমারায় নারী প্রার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা, গ্রেপ্তার ৫

বাগমারা প্রতিনিধিঃ

আসন্ন রাজশাহী জেলা পরিষদ নির্বাচনে ব্যক্তিগত প্রচারণা চালাতে গিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক নারী সদস্য প্রার্থী। গত বৃহস্পতিবার রাতে এ ঘটনায় ওই নারী প্রার্থী বাগমারা থানায় পাঁচ জনের নাম উল্লেখ করে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করে।

 

মামলার পর পুলিশ রাতেই অভিযান চালিয়ে বাহমনী গ্রাম সহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ধর্ষণের সাথে জড়িত সবাইকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিরা হলেন মাহাবুর রহমান (২৮), আকবর হোসেন (৩৫), সোহেল রানা (২৪), দুলাল হোসেন (২৫) ও ফজলুর রহমান (৪৮)। শুক্রবার সকালে গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়।

 

মামলার এজাহারের বরাত দিয়ে বাগমারা থানার পুলিশ জানিয়েছে, আসন্ন জেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রচারণা চালাতে গিয়ে ওই নারী সদস্য প্রার্থী বাগমারা উপজেলার বিভিন্ন স্থানে প্রচারণায় যান। প্রচারণা শেষ বাড়ি ফেরার পথে পাঁচজন যুবক তাঁর গতি রোধ করেন। এ সময় ওই নারীকে তুলে নিয়ে সংঘবদ্ধ ভাবে ধর্ষণ করেন।
সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পরে অসুস্থ হয়ে পড়ে ওই নারী প্রার্থী। পরে তাকে হাসপাতাল ভর্তি করা হয়। চিকিৎসা শেষে আবারো নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।

গত ১৫ সেপ্টম্বর উপজেলার আউচপাড়া ইউনিয়নের বাহমনী গ্রামের মোড়ে ধর্ষণের এ ঘটনা ঘটে। তিনি এক আত্মীয়কে সাথে নিয়ে ভোটাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট চাচ্ছিলেন। ধর্ষণের শিকার ওই প্রার্থী বাগমারা, মোহনপুর এবং দূর্গাপুর তিন উপজেলা নিয়ে সংরক্ষিত সদস্য পদে ভোট করবেন। এদিকে ভোটারদের কাছ থেকে ভালো সাড়া পাচ্ছেন বলে তিনি জানিয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে আসামিদের গ্রেপ্তার করায় পুলিশের প্রতি সন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি। আগামী ১৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে রাজশাহী জেলা পরিষদ নির্বাচন।

 

ধর্ষণের শিকার ওই নারী বলেন, বিভিন্ন ইউনিয়নে প্রচারণা করতে গিয়ে সন্ধ্যা হয়ে যায়। পরের দিন অন্য ইউনিয়নে প্রচারণার জন্য ওই দিন প্রচারণা শেষ করে খুজিপুর যাচ্ছিলাম মেয়ের বাসায়। পথে বৃষ্টি আসলে বাহমনী মোড়ে একটি চায়ের স্টলে জায়গা নিই। সে সময় বিদ্যুৎ চলে গেলে কয়েক জন মিলে আমাকে ঘরের ভিতরে নিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয়। ওই সময় আমার সাথে তারা ধর্ষন করে। পরে চিৎকার দিলে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে এবং তাদের সহযোগিতায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি হয়। চিকিৎসকের পরামর্শে রাতেই থানায় এসে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছি।

 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওই নারী সদস্য এরআগেও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বেশ কয়েকবার প্রতিদ্বন্দ্বীতা করে জয়লাভ করতে পারেননি। তার ব্যক্তিগত আচরণ নিয়ে এলাকায় নানা গুনজন রয়েছে বলেও জানা গেছে।

এদিকে আউচপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাফিকুল ইসলাম শাফি বলেন, লোক মুখে জানতে পেরেছি নারী এক প্রার্থীকে ধর্ষণ করা হয়েছে। ধর্ষণের প্রকৃত কারণ এখনও জানা যায়নি। খোঁজ নেয়া হচ্ছে।

এ ব্যাপারে বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল ইসলাম বলেন, নারী প্রার্থীকে ধর্ষণের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলা এরই মধ্যে সব আসামীকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

 

 

সানশাইন/তৈয়ব


প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২২ | সময়: ৭:২৫ অপরাহ্ণ | Daily Sunshine