জেলা পরিষদ নির্বাচন করবেন না মোহাম্মদ আলী সরকার

স্টাফ রিপোর্টার

রাজশাহী জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও বর্তমান প্রশাসক মোহাম্মদ আলী সরকার আসন্ন জেলা পরিষদ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন । বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলা পরিষদের সভা কক্ষে সাংবাদিক সম্মেলন করে এ ঘোষণা দেন তিনি।

 

 

মোহাম্মদ আলী সরকার বলেন, এবারও নির্বাচন করবো বলে সিদ্ধান্ত নিয়ে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলাম। এখনো জমা দিইনি। এরই মধ্যে দুই-একজন ফোন করে অন্য ভাষায় কথা বলেছে। এর পর আমি আমার মুরুব্বি ও শুভাকাঙ্খিদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। তাদের পরামর্শে আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবার জেলা পরিষদের নির্বাচন করবো না। কারা ফোন করে কি ধরণের ভাষা ব্যবহার করেছে সে বিষয়ে কিছু বলতে রাজি হননি তিনি। তবে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন চাইবেন বলে জানান মোহাম্মদ আলী সরকার।

রাজশাহী চেম্বারে সাবেক সভাপতি ও আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা মোহাম্মদ আলী সরকার এবারও দলীয় মনোনয়নের জন্য আবেদন করেছিলেন। দলের টিকিট না পেলেও তিনি বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়ে গত রোববার নির্বাচন কার্যালয় থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন। এর আগে ২০১৬ সালে দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে তিনি বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করেন। তিনি ভোট পেয়েছিলেন ৭৪২ এবং আওয়ামী লীগ মনোনিত তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী মরহুম মাহবুব জামান ভুলু ভোট পেয়েছিলেন ৪১৫।

 

রাজশাহীর বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আলী সরকার বর্তমানে জেলা পরিষদের প্রশাসকের দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি নগরীর ১৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য। এছাড়াও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের আগের কমিটির সদস্য ছিলেন তিনি। রাজশাহীতে স্থায়ীভাবে বসবাস করলেও তার পৈতৃক বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার রহনপুরে। গত শনিবার জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করা হয়। এতে রাজশাহীতে দলীয় মনোনয়ন পান প্রবীন আওয়ামী লীগ নেতা ও মহানগরের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল।

 

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ আলী সরকার বলেন, দলীয় মনোনয়ন না পেলেও অনেক ইউপি চেয়ারম্যান-মেম্বাররা আমাকে ভোট করার কথা বলেছে। আমিও তাদেরকে বলেছিলাম ভোট করবো। যেহেতুন নির্বাচনে আর অংশ নিচ্ছি না সেহেতু দলীয় সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়ে দলের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করবো। তিনি বলেন, আমি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন করতে চাই। তবে কোথা থেকে করব তা এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। মানুষের ইচ্ছার শেষ নেই। শেষ ইচ্ছা কোথায় নিয়ে গিয়ে দাঁড়ায় সেটা দেখার বিষয়।

তিনি আরও বলেন, আমি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবার পর যখন যেটা বরাদ্দ এসেছে তা উন্নয়ন কাজের জন্য সুষ্ঠুভাবে ব্যবহার করেছি। বর্তমানে জেলা পরিষদের প্রায় ২২ কোটি টাকা উদ্বৃত্ব আছে। আগামীতে যিনি চেয়ারম্যান হবেন তিনি যেনো এই পরিষদকে জনগণের সেবার জন্য ব্যবহার করেন; এই আহ্বান রাখছি। সংবাদ সম্মেলনে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ উপস্থিত ছিলেন।

 


প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২২ | সময়: ১০:২৯ অপরাহ্ণ | Daily Sunshine