সর্বশেষ সংবাদ :

হত্যার উদ্দেশ্যে এক ব্যক্তিকে মারপিটের অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার: নগরীর শেখের চক বিহারীবাগান এলাকায় হত্যার উদ্দেশ্যে নূর আলম নামের এক ব্যক্তিকে বেধড়ক মারপিটের অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার নগরীর একটি কমিউনিটি সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করে এই অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ভুক্তভোগী নূর আলম জানান, তার মৃত ভাই আশরাফুল ইসলামের ডির্ভোস দেয়া বউ সেলিনা (৪২) ও তার মেয়ে নাইয়াতুন জান্নাতী আন্নিকা (২৫) তার পৈত্রিক (নূল আলমের) বাড়ি জোর করে দখলে নিয়ে বসবাস করছে। অথচ ওই বাড়ির অর্ধেকের মালিক তিনি (নূর আলম)। বাড়িতে তার প্রয়োজনীয় নথি ও জিনিসপত্র আছে। যেটা সেলিনা ও আন্নিকা জোর করে ভোগ দখলে নিয়েছে।
তিনি আরও জানান, সেলিনা একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। সে বাড়িতেই ভাড়া থাকেন মাদকসেবী ও সন্ত্রাসী মৃত তারার ছেলে সুমন (২৪), মৃত রাজীবের ছেলে অপু(২০), হাশমতের ছেলে রাশেদ (১৮) ও রাজীবের স্ত্রী কমো বেগম। এই সন্ত্রাসীদের সঙ্গে নিয়ে সেলিনা ও তার মেয়ে অতর্কিতভাবে গত ২ জুলাই তার (নূর আলম) উপর হামলা করেন। তারা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা করে গুরুতর জখম করে। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় ওই ছয়জনকে আসামী করে বোয়ালিয়া থানায় মামলা করা হয়েছে।
নূর আলম জানান, তিনি এখনো ভালোভাবে চলাফেরা করতে পারেন না। সন্ত্রাসী হামলার পর ডাক্তার উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারতে নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। সন্ত্রাসীদের আতঙ্ক এখনো কাটেনি। তাদের বিরুদ্ধে মামলা করাই বারবার হুমকি দিচ্ছে। এসময় তিনি জীবনের নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসীদের কঠোর শাস্তির দাবি জানান।
এ বিষয়ে মামলার আসামী নূর আলমের ভাতিজী নাইয়াতুন জান্নাতী আন্নিকা জানান, তার চাচা নূর আলম তার বাবা (আশরাফুল) হত্যা মামলার আসামী। এই মামলায় আমি বাদী। নূর আলম এই মামলায় দুই বছর জেল খেটেছে। এখন জামিনে বাইরে আছে। এখন তার বাবার হত্যা মামলাকে দূর্বল করতে তাদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার চেষ্টা করছে। কারণ তার বাবা হত্যা মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ শেষের দিকে। সে বুঝতে পেরেছে ওই মামলায় তার ফাঁসিও হতে পারে। তাই এমন মিথ্যা মামলা।
আন্নিকা আরও জানান, নূর আলম এক ভাড়াটিয়ার ছোট্ট বাচ্চাকে অসৎ উদ্দেশ্যে ফোনে নোংরা ছবি দেখাচ্ছিলো। যেটা ওই বাচ্চার বোন দেখে ফেলেছিলো। পরে ওই বাচ্চার বাবা-চাচারা তাকে (নূর আলম) কে মারে। এটা পুরো এলাকার মানুষ জানে। কিন্তু মামলায় দেখা যায় আমাদের কেউ জড়িয়েছে। এ বিষয়ে বোয়ালিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি)মাজহারুল ইসলামের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।


প্রকাশিত: আগস্ট ৩১, ২০২২ | সময়: ৬:২৫ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ