ইসি নিয়োগে প্রস্তাবকারীর নাম প্রকাশের বিষয়ে রুল

সানশাইন ডেস্ক: প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে যোগ্য ব্যক্তি বাছাইয়ের ক্ষেত্রে কে কার নাম প্রস্তাব করেছে, সেসব তথ্যাদি না দেওয়ার বিষয়ে তথ্য কমিশনের সিদ্ধান্ত কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে তথ্য কমিশন ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিবকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। এ সংক্রান্ত রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শরীফ ভূঁইয়া, তানিম হোসেইন ও সাইফুল আলম চৌধুরী। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্রনাথ বিশ্বাস।
এর আগে সার্চ কমিটির কাছে প্রস্তাবিত ব্যক্তিদের পূর্ণ তথ্য এবং কে কার নাম প্রস্তাব করেছেনÍসেসব তথ্য চেয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের তথ্য অধিকার অধিশাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি আবেদন করেন সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার। পরে গত ১ মার্চ এ বিষয়ে কোনও তথ্য সরবরাহ করার এখতিয়ার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নেই জানিয়ে অপারগতা প্রকাশ করেন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।
এর বিরুদ্ধে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের আপিল কর্তৃপক্ষের কাছে আপিল করেন বদিউল আলম। নির্ধারিত সময়ে এর জবাব না পেয়ে তথ্য কমিশনে অভিযোগ করেন তিনি। তবে গত ৭ জুন অভিযোগ খারিজ করে দেয় তথ্য কমিশন। পরে এ বিষয়ে গত ২৩ জুন বদিউল আলম মজুমদারসহ চার বিশিষ্ট নাগরিক ওই রিট দায়ের করেন।
প্রসঙ্গত, নির্বাচন কমিশন গঠনে করা আইন অনুসারে গত ৫ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে প্রধান করে সার্চ কমিটি গঠন করে দেন রাষ্ট্রপতি। পরে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোকে চিঠি দিয়ে নাম প্রস্তাবের আমন্ত্রণ জানায় সার্চ কমিটি। অপরদিকে তিন ধাপে দেশের বিশিষ্টজনদের সঙ্গে মতবিনিময় করা হয়। পরে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের লক্ষ্যে বিভিন্ন উৎস থেকে সার্চ কমিটিতে আসা ৩২২ জনের নাম প্রকাশ করা হয়। পরে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ওয়েবসাইটে তালিকাটি প্রকাশ করে। তবে সিদ্ধান্ত মোতাবেক প্রস্তাবকারীদের কোন নাম সেই তালিকায় প্রকাশ করা হয়নি।