লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হচ্ছে না আমনের!

স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহীতে আমনের ভরা মৌসুম শুরু হলেও সারের সংকটে পড়েছে কৃষক। একদিকে প্রতিকুল আবহাওয়া এবং অন্যদিকে সার না পেয়ে আবাদ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তারা। বাজারে সরকারি দামের অনেক বেশী টাকা দিয়ে সার কিনতে হিমশিম খাচ্ছেন। সার না পাওয়ায় এবারে আমন ধানের লক্ষ্যমাত্রা পূরণের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
খুচরা বিক্রেতাতো বটেই ডিলারদেরও এক দোকান থেকে অন্য দোকাতে ঘুরতে হচ্ছে চাষিদের। যে কারণে অনেকে ইচ্ছা থাকা সত্বেও আমন ধান করছেন না বলে জানা গেছে।
বাজারে ইউরিয়া ও ডিএপি সারের বাড়তি দামে কিনতে পারলেও এমওপি (পটাশ) পাওয়া যাচ্ছে না। এ অবস্থায় আলু চাষিদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। কারণ আমন আবাদের চেয়ে অনেক বেশী পরিমান সারের প্রয়োজন হয় আলু চাষে। তারা গত মৌসুমের মত এবারেরও উপ বরাদ্দ দিয়ে চাষিদের সার সমস্যার সমাধানের আবেদন জানান। সারের ঘাটতি থেকে মুক্তি পেতে সরবরাহ বৃদ্ধিতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন চাষিরা।
জেলায় বিশেষ করে এমওপি (পটাশ) এবং টিএসপি সারের ঘাটতি প্রকট হয়ে উঠেছে। শুধু রাজশাহীতেই জুলাই মাসে প্রায় ১৩৬ মে.টন এমওপি সারের ঘাটতি ছিল। চলতি মাসে এর সাথে যোগ হয়েছে ৮০০ মে.টন। কিন্তু এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ২শ’ মে.টন এমওপি (পটাশ) সার ডিলাররা সরবরাহ পায় নি। এই সুযোগে কিছু অসাধু ডিলার ও খুচরা বিক্রেতারা বেশী দামে সার বিক্রি করছে। চাষিরা নিরুপায় হয়েই বেশী দামে সার কিনছেন।
জানা গেছে, রাজশাহী জেলাসহ নওগাঁ, নাটোর ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে সার সরবরাহ করা হয়। গত মাসে (জুলাই) নওগাঁ জেলায় এমওপি’র বরাদ্দ ছিলো ১ হাজার ৭৮৩ মে.টন। সেখানে সরবরাহ ছিলো প্রায় ৯৪০ মে.টন। ঘাটতি রয়েছে প্রায় ৮৯২ মে.টন। এছাড়াও চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুরে এমওপি’র বরাদ্দ ছিলো এক হাজার ৩৬ মে.টন। এখানেও ঘাটতি ছিলো প্রায় ২৮৭ মে.টন। গত ৪ আগষ্ট রাজশাহী বিএডিসি বাফার গোডাউনে মাত্র ৫০ মে.টন এমওপি মজুত ছিলো।
আমনের মৌসুম প্রায় শেষ হতে চললেও রাজশাহীতে একদিকে বৃষ্টি না হওয়া এবং অন্যদিকে রাসায়নিক সারের সংকটে আবাদ ব্যাহত হয়েছে। সেচ দিয়ে জমি প্রস্তুত করলেও কাঙ্খিত সার পাওয়া যাচ্ছে না। এতে ব্যাহত হচ্ছে ধানের আবাদ। উপায় না পেয়ে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে ইউরিয়া, টিএসপি, এমওপিসহ অন্যান্য সার। যে কারণে বাড়ছে ধানের উৎপাদন খরচ।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের দেয়া তথ্যমতে, এ বছর জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ৮০ হাজার ৫০ হেক্টর (৫লাখ সাড়ে ৯৫ হাজার বিঘা) জমিতে আমন ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৫৮ হেক্টর জমিতে ধানের চারা রোপণ শেষ হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে এখনো ২২ হাজার হেক্টর (১লাখ সাড়ে ৬৫ হাজার বিঘা) জমিতে আমন রোপন করতে হবে। যা কোনভাবেই সম্ভব নয়। অর্থাৎ এবারে আমন ধানের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হচ্ছে না।
রাজশাহী জেলার বোয়ালিয়া, ৭২টি ইউনিয়ন ও ১৪টি পৌরসভায় চলতি মাসে সারের বরাদ্দ আছে টিএসপি ৬৬৩ মে.টন (১৩ হাজার ২৬০ বস্তা), এমপি ৮০০ মে.টন (১৬ হাজার বস্তা) ও ডিএপি এক হাজার ৫৩১ মে.টন (৩০ হাজার ৬২০ বস্তা)।
শুধুমাত্র নওহাটা পৌরসভায় এবারে আমনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১১ হাজার ১৬০ বিঘা। উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তার হিসেব অনুযায়ী প্রতি বিঘা জমিতে প্রথমেই দরকার হয় ডিএপি ১৫ কেজি, এমওপি ১০ কেজি এবং ইউরিয়া ১০ কেজি। সেখানে ১১২ মে.টন এমওপি অর্থাৎ ২ হাজার ২৩২ বস্তা। ডিএপি ১৬৭ মে.টন অর্থাৎ ৩ হাজার ৩৪৮ বস্তা প্রয়োজন। নওহাটা পৌরসভায় বিসিআইসি ডিলারসহ বিএডিসি ডিলার সাতজন। এদের বরাদ্দকৃত সার হচ্ছে-টিএসপি ২৩১ বস্তা, এমওপি ২০৩ বস্তা, ডিএপি ৩৫০ বস্তা। মোট চাহিদার ২৫ শতাংশ সারও বরাদ্দ নাই এই পৌরসভায়। আবার বরাদ্দকৃত সারও সরবরাহ পাচ্ছে না ডিলাররা। এর চেয়ে বেশী সারের ঘাটতি ইউনিয়নগুলোতে।
দেওপাড়া ইউনিয়নের ডিলার মেসার্স ইসলাম ট্রেডার্সের স্বত্ত্বাধিকারী নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমার এলাকায় সাড়ে ৫ হাজার (৪১ হাজার ২শ’ বিঘা) হেক্টর জমিতে আবাদ করা হয়। অথচ জুলাই মাসের ১৩ তারিখে আমি যতটুকু পটাশ সার পেয়েছি- তা দিয়ে মাত্র ৯৩ (প্রায় সাতশ’ বিঘা) হেক্টর জমির চাষ করা সম্ভব। এলাকায় ব্যাপক চাহিদা থাকলেও আমরা পটাশ সার পাচ্ছি না। বাফার গোডাউনে চাহিদা দিয়ে রাখলেও এখন পর্যন্ত সার পাচ্ছি না। গত ২৫জুলাইয়ের পর থেকে আমার দোকানে পটাশ সার নাই। সেজন্য আমি কৃষকদের দিতে পাচ্ছি না’।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক ডিলার জানান, সরকারি বরাদ্দের চেয়ে আনুমানিক চার গুণ বেশি দরকার রাসায়নিক সারের। কিন্তু সরকার বরাদ্দকৃত সারও সরবরাহ করছে না। সারের ঘাতটিতো থাকবেই। আগে ডিলাররা বিভিন্ন মোকাম থেকে যেমন- নওয়াপাড়া, নগরবাড়ী ও নারায়নগঞ্জ থেকে এই সারগুলো বেসরকারিভাবে নিয়ে এসে চাহিদা পূরণ করতো। কিন্তু মোকামের দাম অনেক বৃদ্ধির কারণে ডিলাররা বাহির সার সংগ্রহ করছেন না। আবার বেশী দামে সার বিক্রিতে জেল-জরিমানা রয়েছে। সেই কারণে কৃষকরা বিপদে পড়ছে। তাদের চাহিদামত সারগুলো পাচ্ছে না।
রাজশাহী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসেব মতে জেলায় ৮০ হাজার ৫০ হেক্টর (৫লাখ সাড়ে ৯৫ হাজার) আমন আবাদে প্রথমেই সারের প্রয়োজন ডিএপি ৮হাজার ৯৩৩ মে.টন অর্থাৎ ১ লাখ সাড়ে ৭৮ হাজার বস্তা, এমওপি প্রায় ৬ হাজার মে.টন অর্থাৎ প্রায় এক লাখ ২০ হাজার বস্তা প্রয়োজন। অথচ এ মাসের বরাদ্দ এমওপি ১৬ হাজার বস্তা, ডিএপি ৩০ হাজার ৬২০ বস্তা। চাহিদার তুলানায় বরাদ্দ কতটা অপ্রতুল যা সহজেই বুঝা যায়। এটা শুধু আমন ধানের ক্ষেত্রে। এছাড়াও রয়েছে পুকুরে সার প্রয়োগ। বর্তমানে মাছের প্লাঙ্কটন (অণুজীব) তৈরীতে চাষিরা ব্যাপক হারে বিভিন্ন সার প্রয়োগ করছেন।
তবে কৃষকদের অভিযোগ, ভরা মৌসুমে জেলায় দেখা দিয়েছে রাসায়নিক সারের সংকট। ডিলারদের কাছে চাহিদা অনুযায়ী সার না পেয়ে হাট-বাজারের দোকান থেকে চড়া দামে সার কিনতে বাধ্য হচ্ছেন তারা। সরকারি হিসেবেই ইউরিয়া সারের দাম বেড়েছে কেজিতে ৬ টাকা। এতে আমনের আবাদ ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন চাষিরা।
নওহাটা পৌরসভার তেঘর গ্রামের কৃষক আফাজ উদ্দিন সরকার বলেন, ‘আমি ৫ বিঘা জমিতে আমন ধান করেছি। এখন ধানে সার দেওয়া দরকার। কিন্তু দোকানে সার পাওয়া যাচ্চে না। যাও পাওয়া যাচ্চে তার দাম বেশী। এতে কি ধানের চাষ করা যায়।’
একই এলাকার কৃষক নজরুল ইসলাম বলেন, ‘বিভিন্ন দোকানে ঘুরে সার পাওয়া যাচ্ছে না। আবার প্রতি কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা বেশি দিয়ে নিতে হচ্ছে। ধান আবাদের এই সময় যদি সার না পায় তাহলে তো ধানের আবাদ ভালো হবে না। বেশি দামে সার কিনলে তো খরচও বেড়ে যাবে।’
শিক্ষক মাহবুবুর রহমান বলেন, তিনি শিক্ষকতার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের আবাদ করে থাকেন। তবে এ সরকারের আমলে এবারই সারের সঙ্কট দেখছেন। তিনি বলেন, এবারে বসন্তপুর গ্রামের মাঠে ৫ বিঘা আমন ধান করেছেন। শনিবার (১৩ আগষ্ট) নওহাটা বাজারের এক ডিলারের কাছে তিনি এক বস্তা ডিএপি, এক বস্তা ইউরিয়া ও এক বস্তা এমওপি (পটাশ) কিনতে চান। বিক্রেতা জানান, তার কাছে এমওপি নাই। তিনি আশ্বাস দেন আগামী বুধবারের দিকে এমওপি পাবেন। আর একটু বেশী দাম দিলে ডিএপি দিতে পারি। আর ইউরিয়া সরকারি দাম ১১শ’ টাকাতেই পাবেন। এমওপি না নিয়ে বাকি দুইবস্তা ডিএপি ও ইউরিয়া কেনেন তিনি। তবে পকেট থেকে বেরিয়ে গেছে বাড়তি টাকা। যা উৎপাদন খরচের সাথে যোগ হবে।
এছাড়াও অন্যান্য কৃষকেরা জানান, সার ডিলার গুলো ওএমপি সার নিয়ে কৃষকের সাথে লুকোচুরি খেলছে। নিজ ঘরে সার থাকলেও এক ডিলারে কাছে গেলে এমওপি সার না দিয়ে অন্য ডিলারে কাছে যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে। কোন কোন ডিলার পটাশ সঙ্কট দেখিয়ে ৭৫০ টাকার বস্তার এমওপি(পটাশ) সার এক হাজার ৪শ’ টাকা নিয়ে বিক্রি করছে বলে একাধিক কৃষকের অভিযোগ। ডিলাররা যার কাছে থেকে যেভাবে পারছেন অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন।
এদিকে গত ৫ আগষ্ট রাজশাহী বিএডিসি বাফার গোডাউনে গিয়ে দেখা যায় ডিএপিসহ অন্যান্য সার মজুত থাকলেও এমওপি নেই। নামপ্রকাশে এক কর্মকর্তা বলেন, জুলাই মাসের ২০ তারিখের পর থেকে এমওপি সারের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এ মাসে বর্তমান ৮০০ মে.টন বরাদ্দ থাকলেও গোডাউনে মাত্র ৪০-৪২ মে.টন এমওপি সার রয়েছে। তিনি বলেন বাংলাদেশ মূলত রাশিয়া ও বেলারুশ থেকে এমওপি আমদানি করে থাকে। রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধের কারণে আমাদের দেশে এই সারের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। বর্তমানে কানাডা থেকে এই সার আমদানি করা হচ্ছে। বিধায় ক্ষনিকের জন্য এই ঘাটতি দেখা দিয়েছে। আগামীতে কোন সারের সমস্যা থাকবে না।
তিনি আরো বলেন, সরকারের সাথে চুক্তিকৃত প্রতিষ্ঠানগুলো আমাদের (বিএডিসি) সরবরাহ দিতে না পারায় ঘাটতি বেড়ে চলেছে। রাজশাহীর বিভিন্ন উপজেলায় ব্যাপক জমিতে আলুচাষ হয়ে থাকে। আগামী মৌসুমে সারের বরাদ্দ ও প্রাপ্তি নিশ্চিত না থাকলে চাষিরা বিপাকে পড়বে। অপরদিকে আলু চাষিরা সারের এই অবস্থায় শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। চাষিরা আমনের চেয়ে অনেক বেশী সার ব্যবহার করেন আলু ক্ষেতে। এক্ষেত্রে চাষিরা এখন থেকেই উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে বরাদ্দ ও উপ বরাদ্দ বাড়িয়ে এবং সরবরাহ নিশ্চিত করতে আবেদন করেন।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার এক সফল আলুচাষি বলেন, আলুচাষ নিয়ে এখন থেকেই দুশ্চিন্তায় পড়েছি। এমনিতেই প্রতিবছরই আলু মৌসুমে বিভিন্ন রাসায়নিক সারের সংঙ্কট দেখা দেয়। এবারে এখন থেকেই সার পাওয়া যাচ্ছে না। তিনি আরো বলেন, কৃষি কর্মকর্তার কাছে বিষয়টি জানালে-কর্মকর্তা বলেন আলুচাষ করতে হলে যেভাবে পারেন সার সংগ্রহ করুন।
এদিকে বেশি দামে সার বিক্রি বিষয়ে তানোর এলাকার অনেক কৃষক জানান, স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তাদের মৌখিক ও মোবাইলে অভিযোগ দিলেও ডিলারদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। তানোর কৃষি অফিসের তথ্য মতে, উপজেলায় ৯ টি বিসিআইসি ও ২৩টি বিএডিসি সার ডিলার রয়েছে। চলতি জুলাই মাসে মোট ৩২টি ডিলাদের মধ্যে ৮০ বস্তা করে এমওপি(পটাশ) বরাদ্দ দেন বিএডিসি।
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা (মুন্ডুমালা পৌরসভা দায়িত্ব প্রাপ্ত) রাকিবুল হাসান বলেন, এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী পটাশ সংকট দেখিয়ে বেশি দাম নিচ্ছে বলে কৃষকদের অভিযোগ রয়েছে। আমরা এসব ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ অভিযান চালানোর ব্যবস্থা নিয়েছি।
পবা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, সরবরাহ থাকায় সারের সমস্যা অনেকটা কেটে গেছে। অনেক ডিলার ডিও করেছেন তারা দুই একদিনের মধ্যেই এমওপি সার পেয়ে যাবেন। এতে ঘাটতি থাকবে না। চাষিরা সরকারি দামেই সার পাবেন।
তবে সারের কোনো সংকট নেই বলে দাবি করেছেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোজদার হোসেন বলেন, ‘জেলায় সারের কোনো সংকট নেই। কোনো অসাধু ব্যবসায়ী যেন সারের কৃত্রিম সংকট তৈরি করতে না পারেন সে জন্য উপজেলা কৃষি কর্মকর্তারা প্রতিনিয়ত মনিটরিং করছেন।’


প্রকাশিত: আগস্ট ১৪, ২০২২ | সময়: ৫:১৭ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ

আরও খবর