সর্বশেষ সংবাদ :

কর্ণহার বিলে পুকুরখনন কারিদের ধরেও ছেড়ে দিলো পুলিশ

স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহীর পবার কর্ণহার বড়বিলে সরকারি জমিতে অবৈধ পুকুরখননের দায়ে দুইজনকে আটকের পর থানা থেকে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে উপজেলার কর্ণহার থানার কর্ণহার বড়বিল এলাকায়।
জানা গেছে, আরএমপি কর্ণহার থানা এলাকার সরিষাকুড়ি গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম ও দিঘীরপাড়া এলাকার নয়ন আলী ভূমিহীনদের ভোগ দখলীয় সরকারি জমিতে পুকুরখননের জন্য ড্রেজার নামান। ভূমিহীনরা কর্ণহার থানায় খবর দিলে সেকেন্ড অফিসার এসআই নাজিম উদ্দিন ও এসআই শাহীন আলম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযুক্তদের আটক করে থানায় নিয়ে আসেন। রাতেই অনেক দেন দরবারের পর অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর আলম ও নয়ন আলীকে ছেড়ে দেয় পুলিশ। আর দেন দরবারের সমন্বয়কের দায়িত্বে ছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে হুজুরীপাড়া ইউপি’র চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফার বিরুদ্ধে।
অভিযুক্তদের ছেড়ে দেয়া ও দেন দরবারের বিষয়ে হুজুরীপাড়া ইউপি’র চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা বলেন, তাদেরকে পুলিশ আটক করেনি। তাদেরকে থানায় নিয়ে এসে এই এলাকায় পুকুরখনন করবে না মর্মে মুছলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়। তিনি বলেন, এলাকার চেয়ারম্যান হিসেবে জনগণ বিপদে পড়লে আমাকে যেতে হয়। এখানে দেনদরবারের কোন ঘটনা নেই।
এসআই শাহীন আলম দেন দরবারের বিষয় অস্বীকার করে বলেন, খবর পেয়ে সেকেন্ড অফিসার এসআই নাজিম উদ্দিনসহ অনেক পুলিশ সেখানে যাওয়া হয়েছিলো। সরকারি জমিতে পানি নিস্কাশনের জন্য খাল খননে ড্রেজার নামনো হয়। ড্রেজার বন্ধ করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জাহাঙ্গীর ও নয়নকে থানায় ডাকা হয়। এই এলাকায় পুকুরখনন করবে না মর্মে মুছলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়।
এব্যাপারে কর্ণহার থানার ওসি ইসমাইল হোসেন বলেন, এ বিষয়টি আমাকে জানালে প্রথমে তাদেরকে সতর্ক করতে বলি। তারা যদি বাড়াবাড়ি করে তবে ভ্রাম্যমাণ আদালতে শাস্তির জন্য বলা হয়। অভিযুক্তরা পুলিশ যাওয়ার সাথে সাথে ড্রেজার তুলে নেয় এবং আর কখনো পুকুরখনন করবে মর্মে মুছলেকা দেয়। পুকুরখনন রোধে কার্যকরি পদক্ষেপ অব্যাহত আছে বলে তিনি জানান।


প্রকাশিত: জুন ৬, ২০২২ | সময়: ৬:০৬ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ