সর্বশেষ সংবাদ :

সিনিয়রের সাথে ‘বেয়াদবি’ করায় রাবি শিক্ষার্থীকে মারধর

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

সিনিয়রের সাথে ‘বেয়াদবি’ করায় গভীর রাতে রুমে ডেকে নিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) এক শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে বাংলা বিভাগের কয়েকজন সিনিয়রের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ছয়জনের নাম এবং একজনকে অজ্ঞাতনামা উল্লেখ করে প্রক্টর ও ছাত্র-উপদেষ্টা বরাবর অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী।

গতকাল বুধবার রাত একটার দিকে মতিহার হলের ১৩৬ নম্বর কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর নাম মো. নুর আলম। সে বাংলা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। সে হলের ২৫৪ নং কক্ষের আবাসিক শিক্ষার্থী। তার গ্রামের বাড়ি কুড়িগ্রাম জেলায়।

অভিযুক্ত শিক্ষার্থীরা হলেন একই বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন স্বদেশ, জুবায়ের, শাহীন, জারিফ, নাবিল, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের তানভীর এবং অজ্ঞাতনামা একজন।

লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, বুধবার দিবাগত রাত ১টায় শাহীন ও তানভীর নূর আলমের রুমে এসে তাকে স্বদেশের রুমে (১৩৬ নম্বর) নিয়ে যায়। সেখানে স্বদেশ ছাড়া আরও পাঁচজন উপস্থিত ছিলেন। তারা হলেন জুবায়ের, জারিফ, নাবিল এবং অজ্ঞাত একজন। সেখানে সবাই মিলে তাকে মানসিক নির্যাতন শুরু করে। এক পর্যায়ে তানভীর ও জুবায়ের তাকে মারধর শুরু করে। এক পর্যায়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী।

ভুক্তভোগী নুর আলম বলেন, ‘তার আমার বরাদ্দকৃত সিটে নিজেদের কাউকে তুলতে চায়। আর আমাকে প্রথম ব্লকের চারজনের রুমে পাঠাতে চায়। কিš‘ আমি ডাবল রুম ছেড়ে চারজনের রুমে যেতে চাইনি। তখন স্বদেশ আমাকে বলে এইরুমে থাকতে হলে আমাকে বেডশেয়ার বা ফ্লোরে বেডিং করে থাকতে হবে। আর থাকতে অসুবিধা হলে যেন অন্য ব্লকে চলে যাই। তাদের কথা মতো না চলায় আমাকে এইভাবে নির্যাতন করেছে।’

অভিযোগের বিষয়ে আব্দুল্লাহ আল মামুন স্বদেশ বলেন, ‘নুর আলম আমার বিভাগের ছোট ভাই। সে এক বড় ভাইয়ের সাথে বেয়াদবি করায় বিষয়টি মীমাংসা করার জন্য আমার রুমে ডেকেছিলাম। এসময় আমার সাথে তার বিভাগের চার-পাঁচজন বড়ভাই ছিলো। তাকে কোনভাবে মানসিক অত্যাচার করা হয়নি।’

মারধরের বিষয়ে অভিযুক্ত তানভীর বলেন, ‘সেখানে মারধরের কোনরকম কিছু হয় নাই।’

মতিহার হলের প্রাধ্যক্ষ ড. মুসতাক আহমেদ বলেন, ‘বাংলা বিভাগের এক জুনিয়র ও সিনিয়রের মধ্যে সিট নিয়ে একটা ঝামেলা হয়েছিল। আমি ডেকে এর সুরাহা করে দিয়েছি। ওই শিক্ষার্থী ওর সিটেই থাকবে।’

প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য দুইজন সহকারী প্রক্টরকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সত্যতা মিললে পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

সানশাইন / শামি


প্রকাশিত: মে ১৯, ২০২২ | সময়: ১০:২১ অপরাহ্ণ | Daily Sunshine