রাজশাহীতে ভালোবাসা দিবসে প্রেমিকের ৫ বছর জেল

স্টাফ রিপোর্টার : প্রেমিকার অশ্লীল ছবি তৈরি করে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়া এবং পরিবারের কাছে চাঁদা দাবির মামলায় রাজশাহী সাইবার ট্রাইব্যুনালে শের-ই বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রের পাঁচ বছরের কারাদণ্ড এবং পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা হয়েছে। সোমবার দুপুরে ট্রাইব্যুনালের বিচারক জিয়াউর রহমান আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত যুবকের নাম ইমরান শেখ ওরফে ইমন (২৭)। নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার বিলগোপালহাটি গ্রামে তার বাড়ি। বাবার নাম আবদুল খালেক। ২০১৯ সালে যখন মামলাটি দায়ের হয়, তখন ইমরান ঢাকার শের-ই বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। রায় ঘোষণার পর তাকে আদালত থেকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, বগুড়ার এক তরুণীর সঙ্গে ইমরানের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। পরবর্তীতে ইমরানের আচরণ ভাল না লাগার কারণে ওই তরুণী যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ২০১৯ সালের জুলাই মাসে ইমরান ওই তরুণীর ছবি এডিট করে ছড়াতে শুরু করেন। ওই তরুণীর বান্ধবীসহ বিভিন্নজনের ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে তিনি অশ্লীল সেসব ছবি ছড়াতে থাকেন।
পরবর্তীতে ওই তরুণীর মাকে ফোন করে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। টাকা না দেওয়ায় তিনি আরও বেশি ছবি ছড়াতে থাকেন। এ নিয়ে ওই তরুণীর বাবা চাঁদা দাবি ও অশ্লীল ছবি ছড়ানোর অভিযোগে ২০১৯ সালের ১৫ জুলাই ইমরানের বিরুদ্ধে বগুড়া সদর থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা করেন। আদালত মোট সাতজনের সাক্ষ্য গ্রহণ করে এ রায় দিলেন।
আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ইসমত আরা জানান, আদালত একটি ধারায় আসামিকে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং তিন লাখ টাকা জরিমানা করেছেন। জরিমানার অর্থ অনাদায়ে আরও ছয়মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড। অন্য আরেকটি ধারায় দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং দুই লাখ টাকা জরিমানা করেছেন। জরিমানার এ অর্থ অনাদায়ে আরও বিনাশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে আসামিকে। একটি সাজা কার্যকরের পর অন্যটি কার্যকর হবে। আর জরিমানার টাকা ভুক্তভোগী তরুণী পাবে বলেও আদালত রায়ে উল্লেখ করেছেন।


প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২২ | সময়: ৬:৪৭ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ