অনুমতি ছাড়াই বিদ্যালয়ের গাছ কাটলেন সভাপতি

স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহীর পবার হরিপুর ইউনিয়নের চর নবীনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি শহীদ আলীর বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে ফলজ আমগাছ কেটে ফেলেন তিনি। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ও নবনির্বাচিত ইউপি সদস্য হুমায়ুন কবীরের নেতৃত্বে প্রায় ১৫ হাজার টাকা মূল্যের এ গাছটি কেটেছেন বলে জানা গেছে।
হরিপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডে চরমাঝাড়দিয়ারে একমাত্র সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় চর নবীনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। বর্তমানে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী সংখ্যা সন্তোষজনক। দীর্ঘদিন আগে স্কুলের মাঠে তীব্র রোদ থেকে বিশ্রামের জন্য কয়েকটি আমগাছ রোপণ করা হয়। এরমধ্যে কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়াই ১১ জানুয়ারী বড় আমগাছটি কাটেন সভাপতি শহীদ আলী। বিদ্যালয় চত্বর থেকে গাছ কাটাই এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থী অভিভাবকবৃন্দ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ইমাম হোসেন বলেন, মঙ্গলবার স্কুল খোলার আগেই বড় আমগাছটি কাটা হয়। তবে সভাপতি এ বিষয়ে কাউকে কিছু না জানিয়েই কেটেছেন। বিষয়টি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে।
অভিযুক্ত বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য ও হরিপুর ইউপি’র মেম্বার হুমায়ুন কবীর তার বিরুদ্বে আনীত অভিযোগ অস্বীকার বলেন, ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্তক্রমে এবং মাঠের উন্নয়নে গাছটি কাটা হয়েছে। কিন্তু কর্তৃপক্ষের অনুমতি লাগে কিনা তিনি জানেন না।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি শহীদ আলীর দাবি, বিদ্যালয়ের উন্নয়নকাজের জন্য ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে অবহিত করেই গাছ কাটা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে সরকারিভাবে কোনো অনুমোদন নেওয়া হয়নি বলে জানান তিনি। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম জানান, বিদ্যালয়ের গাছ কাটার বিষয়ে কোনো ধরনের অনুমতি দেওয়া হয়নি। গাছ কাটার পর প্রধান শিক্ষক তাকে মৌখিকভাবে বিষয়টি অবহিত করেছেন। তদন্ত সাপেক্ষে পদক্ষেপ নেয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার লসমী চাকমা বলেন, অনুমতি ছাড়া সরকারি প্রতিষ্ঠানের গাছ কাটার সুযোগ নেই। এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


প্রকাশিত: জানুয়ারি ১২, ২০২২ | সময়: ৫:৪৬ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ