ইয়াবার বিকল্প ব্যথানাশক ট্যাবলেট ট্যাপেন্টাডল

নুরুজ্জামান,বাঘা : দেশ জুড়ে ইয়াবা মাদকের বিরুদ্ধে যখন মাঠে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী,তখন মাদক সেবীদের কাছে এর বিকল্প হিসাবে জনপ্রিয়তা পেয়েছে ব্যাথা নাশক ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট । ভারত থেকে অবাধে প্রাচার হয়ে আসছে এই ট্যাবলেট। এটি ইয়াবার বিকল্প হিসাবে ব্যাহার করা হচ্ছে বলে নিশ্চিত করেছেন পুলিশ ও মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর।

বাঘা সীমান্ত এলাকার লোকজন জানান , ইতোপূর্বে পাশ্ববর্তীদের দেশ ভারত থেকে আসতো ফেন্সিডিল এবং ইয়াবা’র বড়-বড় চালান। তবে বর্তমানে এর পাশা-পাশি ইয়াবার বিকল্প হিসাবে আনা হচ্ছে ট্যাবলেট ট্যাপেন্টাডল, পেন্টাডল, লেপেনটা এবং অপেনটা নামক নেশা জাতীয় ট্যববলেট। এগুলো বিভিন্ন ফার্মেসীতে বিক্রী করা হচ্ছে । এ বিষয়ে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর বিশেষ তদারকি ও অভিযান অবশ্যক ।

পুলিশের একটি মুখপত্র জানান, ইয়াবার বিকল্প হিসেবে ট্যাপেন্টাডল ব্যবহার করছেন অনেক মাকদ সেবী। আইন শৃঙ্খলার রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা বিভিন্ন ফার্মেসীতে অভিযান চালিয়ে মাঝে-মধ্যেই এ বড়ি জব্দ করছেন। তবে এ বড়ি বিক্রি করতে হলে থাকতে হবে লাইসেন্স। কিন্ত এখন পর্যন্ত কোন ফার্মেসী মালিক দেখাতে পারেনি লাইসেন্স । এমনকি কেউ আবেদনও করেননি। তারপারও এই বড়ি পাওয়া যাচ্ছে বিভিন্ন ফার্মেসীতে।

এদিকে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, সাধাণত অস্ত্রোপাচারের পর ব্যাথা দূর করতে রোগীকে ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট দেওয়া হয়। বাংলাদেশী কয়েকটি কোম্পানী এই বড়ি উৎপাদন করে। ২০১৯ সালের জানুয়ারীতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্র অধিদপ্তর রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ের অতিরিক্ত পারিচালক জাফরুল্লা কাজল বিভাগের কয়েকটি মাদক নিরাময় কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। তিনি কয়েকজন মাদকসক্ত ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে জানতে পারেন ইয়াবার বিকল্প হিসাবে এই ট্যাপেন্টাডল সেবন করা হয়।

এরপর তিনি এ বিষয়ে অধিদপ্তরের মহা-পরিচালকের কাছে প্রতিবেদন দেন। অত:পর তিনি ট্যাপেন্টাডল নিষিদ্ধের প্রস্তাব করেন। তবে এ প্রস্তাবের যৌক্তিকতা যাচাই কিংবা কোন আইন পাশ হয়েছে কি-না সে বিষয়ে এখন পর্যন্ত সু-নির্দিষ্ট কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। ইতোমধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসী বিভাগ থেকেও এই ট্যাবলেট নিষিদ্ধের সুপারিশ করা হয়েছে বলে সূত্র নিশ্চিত করেন।

বাঘা থানা অফিসার ইনচার্জ(ওসি)সাজ্জাদ হোসেন জানান, ইতোমধ্যে র্যাব এবং পুলিশ রাজশাহী শহরের বেশ কয়েকটি দোকান সহ বাঘার এক পল্লী চিকিৎক এর নিকট থেকে এ ট্যাবলেট জব্দ করেন । এ নিয়ে মামলা হলে ট্যাবলেট বিক্রেতা কয়েকজন ব্যবসায়ীকে জেল হাজত প্রেরণ করে মহামান্য আদালত। এর পর থেকে অন্য ব্যবসায়ীরা সতর্ক আবস্থানে রয়েছে।


প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১০, ২০২১ | সময়: ১০:২৪ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ