পাঁচ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হচ্ছে বার্ন ইউনিট

সানশাইন ডেস্ক: দেশের বিভাগীয় পর্যায়ের পাঁচ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আগুনে পোড়া ও পক্ষাঘাতগ্রস্ত রোগীর মান সম্পন্ন চিকিৎসার জন্য আলাদা ‘বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি’ ইউনিট স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
এ জন্য ৪৫৬ কোটি টাকা ব্যয়ের একটি প্রকল্প একনেকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। এ প্রকল্পসহ বৈঠকে সাত হাজার ৪৪৭ কোটি টাকা ব্যয়ের ১০টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রকল্পটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে বৈঠক পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।
এসময় পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. অধ্যাপক শামসুল আলম, পরিকল্পনা বিভাগের সচিব প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী, পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য মো. মামুন-আল-রশিদ, আর্থ সামাজিক অবকাঠামো বিভাগের সদস্য মোসাম্মৎ নাসিমা বেগম এবং কৃষি পানি সম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের সদস্য রমেন্দ্র নাথ বিশ্বাসসহ উপস্থিত ছিলেন।
রাজধানীর শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেকের এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজের শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটের মাধ্যমে পোড়া রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এ সেবা দেশের অন্যান্য অঞ্চলে ছড়িয়ে দিতে সিলেট, বরিশাল, রংপুর, রাজশাহী ও ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে ‘বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি’ ইউনিট স্থাপন করা হবে।
স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের উদ্যোগে ‘এস্টাবলিশমেন্ট অব বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট অ্যাট ফাইভ মেডিকেল কলেজ হসপিটাল (সিলেট, বরিশাল, রংপুর, রাজশাহী এন্ড ফরিদপুর)’ শীর্ষক প্রকল্পটি ২০২৫ সালের জুনের মধ্যে শেষ করার লক্ষ্য নিয়ে বাস্তবায়ন করবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
এ প্রকল্পের প্রস্তাবে বলা হয়, দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ আগুনে পুড়ে আহত হলে কিংবা পক্ষাঘাতগ্রস্ত হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য আঞ্চলিক পর্যায়ে তেমন সুযোগ সুবিধা নেই। দরিদ্র্য রোগীদের পক্ষে ঢাকায় এসে চিকিৎসা করানো সম্ভব হয় না। তাই বিভাগীয় পর্যায়ে এসব রোগীর চিকিৎসার সুযোগ সৃষ্টি করতে প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়েছে।
প্রকল্পটির মাধ্যমে পাঁচ মেডিকেল কলেজের বিদ্যমান ভবনে প্রায় ২০ হাজার বর্গ মিটার ভবন সম্প্রসারণ ও সংস্কার করা হবে।
বৈঠকে অনুমোদন পাওয়া অন্য প্রকল্পগুলো হচ্ছে: মোংলা বন্দর হতে চাঁদপুর-মাওয়া-গোয়ালন্দ হয়ে পাকশী পর্যন্ত নৌ-রুটের নাব্যতা উন্নয়ন (১ম সংশোধিত); ব্যয় বেড়েছে ৩৩৪ কোটি টাকা। কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের সমন্বিত অবকাঠামো উন্নয়ন; ব্যয় ১ হাজার ৫৩৮ কোটি টাকা। বৃহত্তর নোয়াখালী জেলার পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প-৩ পর্যায় (১ম সংশোধিত); ব্যয় বাড়ছে ৩১৩ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আওতায় চট্টগ্রাম ও রাজশাহীতে ক্রীড়া স্কুল প্রতিষ্ঠা (৩য় সংশোধিত); ব্যয় বাড়ছে ৩১ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় একটি করে ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন (২য় সংশোধিত); ব্যয় বাড়ছে ৭১৩ কোটি টাকা। জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের আইসিটি অবকাঠামো, মানব সম্পদ ও প্রযুক্তি দক্ষতা উন্নয়ন (৩য় সংশোধিত) এবং ডিজিটাল গভার্নমেন্ট ও অর্থনীতি সমৃদ্ধিকরণ; বাড়ছে ১৩ কোটি ৮৪ লাখ টাকা।
সেচ অবকাঠামো পুনর্বাসন; ব্যয় ধরা হয়েছে ৩২২ কোটি ৯৯ লাখ টাকা এবং ক্লাইমেট স্মার্ট এগ্রিকালচার অ্যান্ড ওয়াটার মেনেজমেন্ট (বিডাব্লিউডি অংশ); ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ১৮২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা।


প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৮, ২০২১ | সময়: ৫:৪০ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ