শনিবার, ৭ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২২শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
স্টাফ রিপোর্টার: ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বরাবরই পিতারা পরাজিত হয়েছেন। সে ক্ষেত্রে ছেলেরা পিতার পরাজয়ের গ্লানি মুছতে সমর্থ হয়েছেন। এমন একটি ইউনিয়ন হচ্ছে রাজশাহী পবা উপজেলার বড়গাছী ইউনিয়ন। ওই ইউনিয়নে এবারো চেয়ারম্যান পদে জয়লাভ করে পিতার দুই বারের জয়ের প্রত্যাশা পূরণ করেছেন নৌকা প্রতিকের প্রার্থী শাহাদৎ হোসাইন সাগর।
সম্প্রতি তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন শেষ হয়েছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা ঘটলেও রাজশাহীতে শান্তিপূর্ণ অবস্থা বিরাজ করছে। অন্যান্য স্থানে কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ও সহিংসতা হলেও তৃতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষে নির্বাচন কমিশন ভবনে সাংবাদিকদের ইসি সচিব বলেন, কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া এবারের ভোটগ্রহণ শান্তিপূর্ণ হয়েছে। ভোটাররাও উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দিতে পেরেছেন। সার্বিক বিবেচনা করে স্থানীয় ভোট বিশ্লেষকগণ তৃতীয় ধাপের ভোটগ্রহণ অনেকটাই নিরপেক্ষ, অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে বলে জানিয়েছেন। বিশেষ করে রাজশাহীর জেলার পবা ও মোহনপুর উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নে নিরপেক্ষ, অবাধ ও সুষ্ঠু ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচন নিয়ে হামলা-পাল্টা হামলা এবং জনমনে আতঙ্ক থাকলেও রাজশাহী জেলায় উৎসাহ-উদ্দীপনা ও উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জেলার পবা উপজেলার বড়গাছী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বরাবরেই পিতারা হেরেছেন। এই বিষয়টি জনগণের মধ্যে সাড়া ফেলেছে। ওই ইউনিয়নের ভোটারগণ বারবার ছেলেদেরকেই চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত করে আসছেন। এই নির্বাচনেও এর ব্যতিক্রম ঘটেনি। বর্তমান চেয়ারম্যান সোহেল রানার পিতা স্থানীয় বিএনপির জাদরেল নেতা নুরুল ইসলাম পরপর তিনবার চেয়ারম্যান পদে পরাজিত হয়েছেন। তিনি প্রথমবার পরাজিত হন শামসুল ইসলামের কাছে। এরপর হাবিবুর রহমান ও মোবারক আলীর নিকট পরাজিত হন। শেষ বার নির্বাচনে পরাজয়ের পর তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
পিতার জয়ের প্রত্যাশা পূরণে ওই ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে অংশ নেন ছেলে সোহেল রানা। চেয়ারম্যান পদে তার প্রথম অংশগ্রহণেই জনগণ তাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেন। পরপর দুই বার তিনি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি ছিলেন, সদ্য বেসরকারিভাবে নির্বাচিত চেয়ারম্যান শাহাদৎ হোসোইন সাগরের পিতা এমদাদুল হক। তবে তিনি চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হতে না পারলেও জেলা পরিষদের সদস্য পদে নির্বাচিত হন এবং এখনো ওই পদে রয়েছেন।
দুই বারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান সোহেল রানা (বর্তমান চেয়ারম্যান) এমদাদুল হককে পরাজিত করলেও ২৮ নভেম্বরের নির্বাচনে এমদাদুল হকের ছেলে শাহাদৎ হোসাইন সাগরের কাছে পরাজিত হন। সাগরের জয়লাভের বিষয়টি ওই ইউনিয়নে মুখে মুখে ফিরছে।