কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে পবাকে স্মার্ট উপজেলা গড়তে চাই: চেয়ারম্যানপ্রার্থী রশিদ

স্টাফ রিপোর্টার: ২৯ই মে অনুষ্ঠিত হবে রাজশাহীর পবা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। সে উপলক্ষে ইতিমধ্যে জমে উঠতে শুরু করেছে নির্বাচনী উত্তাপ। চায়ের কাপে কিংবা বন্ধুমহলের আড্ডায় চলছে আলোচনা। উপজেলা পরিষদের তফসিল ঘোষণা হলেও নির্বাচনের কয়েক সপ্তাহ দেরি। তবে ইতিমধ্যে ভোটের প্রস্তুতি গ্রহণ করতে শুরু করেছেন প্রার্থীরা। এবারে পবা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে লড়তে চান রাজশাহী জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি প্রভাষক আব্দুর রশিদ।
তিনি উপজেলার বিভিন্ন প্রান্তে প্রতিদিন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে নিজের জন্য চাইছেন ভোট ও দোয়া। প্রচার-প্রচারণায় সরগম করছেন এলাকা। ভোটে নির্বাচিত হলে পবা উপজেলাবাসীর জন্য কি কি কাজ করতে চান তার পরিকল্পনার কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা দীর্ঘদিন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। আমার পূর্ব পুরুষ বাপ-চাচারা সবাই আওয়ামী লীগের জন্য কাজ করেছেন। আমার চাচা আব্দুল গফুর সরকার দীর্ঘদিন নওহাটা পৌরসভার মেয়র ছিলেন। তার হাতে ধরেই নওহাটাতে অনেক নেতা তৈরি হয়েছে। আমি পবা উপজেলা কলেজ শিক্ষক সমিতির দপ্তর সম্পাদক ছিলাম, নওহাটা পৌরসভা বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদের সভাপতি, পবা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এবং বর্তমানে রাজশাহী জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি আছি। সুতরাং আওয়ামী লীগের সাথে আমাদের রক্তের সম্পর্ক। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এখন দেশের তরুণ সমাজের প্রতি আলাদা একটা মায়া আছে। সেই অনুযায়ী আমি আসন্ন পবা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীতা ঘোষণা করেছি। আমাকে যদি উপজেলার ভোটাররা ভোট দিয়ে নির্বাচিত করে তাহলে আমি উপজেলাবাসীর জন্য কিছু আলাদা পরিকল্পনা নিয়েছি।
আমার পরিকল্পনার ভিতরে প্রথমেই রয়েছে আমি যদি নির্বাচিত হতে পারি তাহলে সর্বপ্রথমে পবাকে মাদকমুক্ত করবো। মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করবো। শিক্ষা ক্ষেত্রেও পবা উপজেলায় কাজ করার অনেক সুযোগ রয়েছে। এখানে শিক্ষার্থীদের জন্য ভালো মানের পাঠাগার নেই। আমার নির্বাচিত হতে পারলে প্রতিটি ইউনিয়নে ইউনিয়নে শিক্ষার্থীদের জন্য পাঠাগার নির্মাণ করে দিব ঈনশাআল্লাহ। পবার উন্নয়নে সবাই একত্রিত হতে পারলে উন্নয়ন আরো বেশি ফলপ্রসু হবে বলে আমি মনে করছি।
চিকিৎসা সেবার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের পবা উপজেলায় একমাত্র স্বাস্থ্যকেন্দ্র দারুশায় হওয়ায় এই অঞ্চলের মানুষের যাতায়াতের অনেক অসুবিধা এবং দুরুত্ব হয়ে যায়। চিকিৎসা সেবা উন্নতি করতে গেলে প্রাথমিক অবস্থায় আমাদের ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে যেগুলো কমিউনিটি কিøনিক আছে সেগুলোর মান আরেকটু বাড়ানো দরকার বলে আমি মনে করি।
দলীয় সিদ্ধান্তে এবং সাংগঠনিক ভাবে তৎপর থাকবেন বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা দেখেছি পূববর্তী সময়ে অনেকে জনপ্রতিনিধি হয়ে দলীয় ব্যাপারে উদাসীন হয়ে পড়ে। আমি আমার পবা উপজেলা বাসীকে কথা দিতে চাই আমি যদি নির্বাচিত হতে পারি তাহলে দলীয় সিদ্ধান্তে অটুট থাকবো এবং সাংগঠনিক ভাবে সংগঠনের জন্য কাজ করবো। যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ সহযোগী সংগঠনের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দিবো।
কর্মসংস্থানের উপরে গুরুত্বারোপ করে পব্ াউপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুর রশিদ বলেন, কর্মসংস্থান এখন আমাদের সমাজের সবচাইতে বড় একটি সমস্যা। বিশেষ করে পড়াশোনা শেষ করে অনেক যুবক চাকুরীর আশায় বেকার বসে থাকে। আমার পবা উপজেলা একটি অনেক বড় এলাকা। এখানে কাজ করার অনেক সুযোগ রয়েছে। আমি যদি নির্বাচিত হতে পারি তাহলে কর্মসংস্থান তৈরীর লক্ষ্যে আমি বিনামূল্যে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ দিয়ে ফিল্যান্সিং এর ব্যবস্থা করবো এবং কারিগরী শিক্ষায় জোর দিবো। আমার পবা উপজেলায় বিভিন্ন বড় বড় প্রতিষ্ঠানের সাথে কথা বলে তাদের বিভিন্ন কারখানা এখানে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য বলবো এতে করে পবার অনেক কর্মসংস্থানে সৃষ্টি হবে বলে আমি মনে করি। পরিশেষে বলতে চাই আমি যদি নির্বাচিত হতে পারি তাহলে পবায় কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে স্মার্ট উপজেলা হিসেবে গড়ে তুলবো ইনশাআল্লাহ্।


প্রকাশিত: মে ৫, ২০২৪ | সময়: ৫:০৬ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ

আরও খবর