শিরোপা হাতে নিয়ে কাঁদলেন ইয়ারজান

স্পোর্টস ডেস্ক: ট্রফি হাতে গোলকিপার ইয়ারজান বেগম। ট্রফি হাতে গোলকিপার ইয়ারজান বেগম। ঢাকায় সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে অনেক নাটকের পর বাংলাদেশ ও ভারতকে যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন বানানো হয়েছিল। নেপালে সাফ অনূর্ধ্ব-১৬ চ্যাম্পিয়নশিপে অবশ্য ট্রফি ভাগাভাগি করতে হয়নি। গোলকিপার ইয়ারজান বেগমের অসাধারণ নৈপুণ্যে স্নায়ুক্ষয়ী টাইব্রেকারে ভারতকে ৩-২ গোলে হারিয়ে বাংলাদেশ এককভাবে ট্রফি ঘরে তুলেছে। বিদেশের মাটিতে এমন জয়ের পর স্বাভাবিকভাবেই আনন্দ উৎসব করছে লাল-সবুজ দলের সবাই।
প্রথম বিদেশযাত্রায় টুর্নামেন্টের সেরা গোলকিপারের ট্রফিটাও উঠেছে পঞ্চগড়ের ইয়ারজান বেগমের হাতে।এবারের দলটিতে সাত জন ছিল বাফুফে ক্যাম্পের, ৬ জন বিকেএসপির। বাকিরা এসেছেন সারা দেশের বাছাই প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়ে। ইয়ারজানও সেই প্রক্রিয়া থেকে লাল-সবুজ জার্সি পরে ম্যাচের নায়ক হয়েছেন।
রবিবার শুধু টাইব্রেকার কিংবা নির্ধারিত ৯০ মিনিটের ম্যাচ নয়; এর আগেও দারুণ পারফরম্যান্স ছিল তার। টুর্নামেন্টের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ইয়ারজান ছিলেন বাংলাদেশ দলের চীনের প্রাচীর! আজ ফাইনালে ভারতের বিপক্ষেও ব্যতিক্রম হলো না। টাইব্রেকারে তিনটি শট রুখে সব আলো নিজের করে নিয়েছেন তিনি। সেই তিনটি শট ছিল ভারতের আলিনা, বনিফিলিয়া ও দেবযানীর।
ম্যাচের পর ইয়ারজান সেরা গোলকিপারের পুরস্কার হাতে নিয়ে কান্না সংবরণ করতে পারেননি। কান্নাজড়ানো গলায় বলেন, ‘জীবনে প্রথম বিদেশের মাটিতে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে নেমেছিলাম। তাতে সেরা গোলকিপারও হলাম। এ অনুভূতি দুর্দান্ত।’ তিনটি পেনাল্টি শুট রুখে শিরোপা এনে দিয়ে নিজের বাবাকে কৃতিত্ব দিয়েছেন তিনি, ‘আমার এই সাফল্যের সব কৃতিত্ব কোচ আরিফুর রহমান আর আমার বাবার। আমার বাবা আর কোচকে এই সাফল্য উৎসর্গ করলাম।’
ইয়াজানের এমন পারফরম্যান্স দেখে মেয়েদের ফুটবলে আগের ৮ বারের শিরোপাজয়ী কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ইয়ারজান টুর্নামেন্টে সাবলীল পারফরম্যান্স করেছে। স্নায়ুচাপ ধরে রেখে কীভাবে পারফর্ম করতে হয় তা দেখিয়েছে। ও প্রশংসার যোগ্য। বিশেষ করে টাইব্রেকারে ওর পারফরম্যান্স দেখে মুগ্ধ হয়েছি।’


প্রকাশিত: মার্চ ১১, ২০২৪ | সময়: ৪:৪৬ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ