প্রচন্ড শীত উপেক্ষা করে বোরো চাষে ব্যস্ত কৃষক

টিপু সুলতান, তানোর: রাজশাহীর তানোরে মাঘ মাসের প্রচন্ড শীত ও ঘনকুয়াশা উপেক্ষা করে বিলকুমারী বিলের ধারে বোরো চাষে ব্যস্ত কৃষকরা। বন্যার পানিতে ধান ডুবে যাওয়ার ভয়ে বিল পাড়ের কৃষকরা প্রতিবছরই বিলের জমিতে আগাম বোরো ধান রোপন শুরু করেন। চলতি এবছরও প্রচন্ড শীত ও ঘনকুয়াশা উপেক্ষা করে বিলকুমারী বিলের জমিতে আগাম বোরো ধান রোপন শুরু করেছেন কৃষকরা।
গতকাল সোমবার সকালে প্রচন্ড শীত ও ঘনকুয়াশা উপেক্ষা করে বিলকুমারী বিলে কৃষকরা জমিতে বোরো ধান রোপন করতে দেখা গেছে।
তানোর গ্রামের ইয়াছিন, গোল্ল্াপাড়া গ্রামের সালাম মন্ডল, হিন্দুপাড়ার ভবেশ সহ অনেক কৃষক বলেন, বন্যায় ধান ডুবে যাওয়ার ভয়ে বিলকুমারী বিলের জমিতে আমরা আগাম বোরো ধানের চারা রোপন করি। বিলের পানি নেমে যাওয়ার পরই কৃষকরা শুরু করেন বীজতলা তৈরির কাজ। বর্তমানে বোরো ধানের বীজ বড় হওয়ার পরে চারা রোপন শুরু হয়েছে।
রাজশাহীর তানোর উপজেলার সীমান্তের বিলকুমারী বিল পাড়ের গ্রাম কামারগাঁ, তালন্দ, গোকুল, চাপড়া, ধানতৈড়, গুবিরপাড়া, কুঠিপাড়া, হলদারপাড়া, আমশো, জিওল, বুরুজ, মোহনপুর উপজেলার মেলান্দী ও বেলনাসহ বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিন দেখা গেছে, বিলের পানি নেমে যাওয়া জমিগুলোতে কৃষকদের বোরো বীজ রোপনের উপযোগী হয়ে উঠেছে। ফলে কিছুকিছু কৃষক তাদের জমিতে বোরো রোপন শুরু করেছেন।
বেশির ভাগ কৃষকেরই বোরো বীজ রোপনের উপযোগী হয়ে উঠায় জমিতে সেচ দিয়ে চাষ করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। আগামী ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যেই বিলপাড়ের জমিগুলো প্রায় বোরো রোপন সম্পূর্ণ হয়ে যাবে। এমন লক্ষ নিয়েই কৃষকরা পুরো দমে জমিতে সেচ ও চাষের কাজ করছেন।
তানোর উপজেলা কৃষি অফিসার সাইফুল্লাহ আহম্মদ বলেন, এবছর সাড়ে ১২ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে। এরমধ্যে ২শ হেক্টর জমিতে বোরো চাষ হচ্ছে বিলকুমারী বিলের জমিতে। মাঘ মাসের প্রচন্ড শীত ও ঘনকুয়াশা উপেক্ষা করে কৃষকরা বিল কুমারী বিলে কৃষকরা বোরো ধানের চারা রোপন করছেন।


প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৬, ২০২৪ | সময়: ৫:৪৬ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ