প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

গত ১১-০১-২৪ তারিখে দৈনিক সানশাইন পত্রিকার চতুর্থ পৃষ্ঠায় ‘এনা কাহিনী’ শিরোনামে যে সংবাদ প্রকাশিত হয় সেটি আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। উক্ত প্রতিবেদনে যে তথ্য উপাত্তগুলো প্রকাশ করা হয়েছে তা শুধুই কল্পকাহিনী। কোন এক চক্রের মদদপুষ্ট হয়ে আমার রাজনৈতিক ও ব্যবসায়িক ক্যারিয়ার ধ্বংস করার অসৎ উদ্দেশ্যে মনগড়া একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। যা সম্পূর্ণরূপে বানোয়াট, মিথ্যাচার ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। উক্ত প্রতিবেদনে আমাকে জড়ানো ছাড়াও আমার সুনামধন্য প্রতিষ্ঠানের নামকে হেয়প্রতিপন্ন করার পাশপাশি সুনামধন্য একজন সিনিয়র আওয়ামী লীগ নেতা, মেয়র ও চেয়ারম্যানকে বিষবৃক্ষ, লেদার চেয়ারম্যান ও মীর জাফর হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে; যা অসৌজন্যমূলক, অসদাচরণ ও মানহানীকর হিসেবেই প্রতীয়মান হয়।
উক্ত প্রতিবেদনে অনাকাঙ্খিতভাবে ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে টেনে এনে বিএনপি-জামায়াত দলটিকে প্রাধান্য দেবার অপপ্রয়াস চালানো হয়েছে। যার কারণে, প্রতিবেদক বিশেষ কোন রাজনৈতিক দলের পৃষ্ঠপোষক কিনা সেটিও এখন ভাবনার বিষয়। একটি কুচক্রি মহলের বাহবা পাবার আশায় উক্ত প্রতিবেদন প্রকাশের পূর্বে আমার কোন বক্তব্য বা মন্তব্য না নেবার কারণে সংবাদ প্রকাশের নিয়মনীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানো হয়েছে। উক্ত প্রতিবেদনে সর্বহারা ও চরমপন্থী লালন-পালন করার বিষয়টির সাথে আমাকে জড়িয়ে যে কথাগুলো লেখা হয়েছে সেগুলো সম্পূর্ণই মিথ্যাচার, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যমূলক। কারণ, বৃহত্তর বাগমারা থেকে সর্বহারা বা চরমপন্থী ও জেএমবি’র (কথিত বাংলাভাই) পতন ঘটানোই ছিল আমার প্রথম নির্বাচনী অঙ্গীকার। সে মোতাবেক বাংলা ভাইসহ অন্যান্য সন্ত্রাসীবাহীনির শিকড় আমি উপড়ে দিয়ে ভীতিকর বাগমারাকে শান্তি ও উন্নয়নের বাগমারায় রূপান্তর করেছি। সরকারি বিভিন্ন দান অনুদান আত্মসাতে মেতে ওঠার যে কল্পকাহিনী প্রতিবেদক তার প্রতিবেদনে উল্লেখ্য করেছেন সেটি যেনো তার মনগড়া কল্পকাহিনী বলেই আমার মনে হয়েছে। কারণ, আমি ললাট উচিয়ে উচ্চস্বরে বলতে পারবো, আমার মতো বাগমারাবাসিকে কেউ কোনদিন সাহায্য সহোযোগিতা করতে পারেনি। বিগত ১৫ বছর ধরে আমার প্রাণপ্রিয় বাগমারাবাসি যেমনিভাবে আমার পাশে ছিলেন আগামীতেও থাকবে বলে আমি আশা করি এবং আমিও তাদের পাশে থাকবো।
আমার সম্মানহানী ঘটানোর নিমিত্তে প্রকাশিত খবরে স্কুলে চাকুরির বিষয়ে নিয়োগ বানিজ্য, লুটপাট, রাজনৈতিক মনোনয়ন বানিজ্য, চাঁদাবাজি ও স্বজনপ্রীতির কথাগুলো উল্লেখ্য করেছেন। কিন্তু প্রতিবেদকের বোঝা উচিৎ ছিল যে, দেশের খ্যাতনামা গ্রুপ অব কোম্পানীর একজন চেয়ারম্যান যতসামান্য অর্থ প্রাপ্তির জন্য এহেন কর্মে কখনোই নিজেকে সম্পৃক্ত করবেন না। উপরন্তু আমি এই এলাকার একজন সুনামধন্য রাজনীতিবিদ ও তিনবারের সংসদ সদস্য ছিলাম। তাই এমন অনৈতিক কাজ আমার দ্বারা সম্পাদন হওয়াটা অসম্ভব। আমার নামে সাথে ‘হাইব্রীড আওয়ামী লীগের ডিপো’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে আমার রাজনৈতিক ক্যারিয়ারকে ছোট করার অসৎ উদ্দেশ্যে। কারণ, আমি সুনামের সাথে দীর্ঘ সময় ধরে আওয়ামী লীগের সাথে জড়িত। ঈদ-পূজাসহ শীতার্থ গরীব দুখিকে অন্যান্য শাড়ি লুঙ্গি ও কম্বল বিতরণ করার কাজটি আমি নিজের দায়িত্ববোধ থেকেই করি। কিন্তু প্রতিবেদক আমার এই পজিটিভ কাজগুলোকে নিয়ে ‘ট্রল’ আকারে যে কথাগুলো লিখেছেন তাতে করে ভাল কাজে আগ্রহ হারাবে মানুষ।
উক্ত সংবাদের প্রায় প্রতিটি অংশেই পরিকল্পিতভাবে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন ও সম্মানহানী ঘাটনোর অপচেষ্টা চালানো হয়েছে। আমি এই মিথ্যাচর, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত প্রতিবেদনের জোর প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
প্রতিবাদকারী
ইঞ্জিনিয়ার মো ঃ এনামুল হক
সাবেক এমপি, বাগমারা, রাজশাহী।


প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৬, ২০২৪ | সময়: ৫:৪৬ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ