প্রশাসনের উদ্বেগ থাকলেও থামছে না মাদক কারবারি

মিজানুর রহমান, চারঘাট: রাজশাহীর চারঘাটে কৌশল পরিবর্তন করে চলছে মাদকের রমরমা বাণিজ্য। ধরা ছোয়ার বাইরে রাঘব বোয়ালরা। যারা আটক হচ্ছেন তারা মুলত গডফাদারদের নিয়োগকৃত চুনোপুটিরা। ফলে প্রশাসনের শত চেস্টার পরও বন্ধ হচ্ছে না মাদক বাণিজ্য। এতে মাদকের ভয়াবহতায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে অভিভাবকসহ স্থানীয়রা। আইন শৃঙ্খলা সভায় এ উদ্বেগও প্রকাশ করা হচ্ছে।
তবে স্থানীয় প্রশাসনের দাবি মাদকের বিরুদ্ধে চলছে জিরো টলারেন্স নীতি। গত কয়েকদিন ধরে উপজেলার বিভিন্ন মাদক প্রবন এলাকায় সরজমিনে গিয়ে জানা যায় এমন চিত্র।
জানা যায়, বর্তমানে কৌশল পরিবর্তন করে চারঘাটের আনাচে কোনাচে চলছে মাদকের রমরমা বানিজ্য। গডফাদাররা নিজেরা লোক চক্ষুর আড়ালে থেকে তাদের নিয়োগকৃত চুনোপুটি দিয়ে চালাচ্ছে মাদক ব্যবসা। আর প্রশাসনের অভিযানে আটক হচ্ছে চুনোপুটিরা। ধরা ছোয়ার বাইরে বরাবরই থেকে যাচ্ছে রাঘব বোয়ালরা। এতে প্রশাসনের শত চেষ্টার পরও চারঘাটে বন্ধ হচ্ছে না মাদক বানিজ্য। এতে নিজেদের সন্তান নিয়ে চরম উদ্বিগ্ন অভিভাবকসহ এলাকাবাসী। মদককে কেন্দ্র করে একাধিকবার সংঘর্ষ ও হত্যকান্ডের ঘটনা ঘটলেও থামছে না মাদক ব্যবসায়ীরা। বরং তারা হয়ে উঠছে আরো হয়ে উঠছে বেপরোয়া।
মাদকের ভয়াবহতা নিয়ে একাধিকবার উপজেলা মাসিক আইন শৃঙ্খলা সভায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হলেও কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না বলে অভিযোগ মাদক প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি সাইফুল ইসলাম বাদশার।
বাদশা বলেন, চারঘাটে শুধু মাদককে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে হত্যাকান্ডের ঘটনায় একাধিক ব্যাক্তি প্রার হারালেও যেন মাদক বিস্তার থেকে নিরুতসাহিত হচ্ছে না ব্যবসায়ীরা। মুলত কৌশল পরিবর্তন করে তারা আড়ালে আবডালে থেকে তাদের নিয়োগকৃতদের দিয়ে চালিয়ে যাচ্ছে অবৈধ মাদক ব্যবসা।
তিনি বলেন, মুলত উপজেলার নিমপাড়া ইউনিয়নের নন্দনগাছী রেলস্টেশন, কামীনি, কালোহাটি, ভায়ালক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের পুঠিমারী, বুদিরহাট, চারঘাট সদর ইউনিয়নের রাওথা, পিরোজপুর, চারঘাট পৌরসভার মোক্তারপুর, আন্দারীপাড়া, ইউসিুফপুর ইউনিয়নের টাঙ্গন, ইউসুফফপুর, শলুয়া ইউনিয়নের চামটা, এসকে বাদল, তাতারপুর।
এসব এলাকায় এখন ব্যাপক ভাবে চলছে মাদক বাণিজ্য। আর এসব মাদক বাণিজ্যের সঙ্গে রাঘব বোয়াল হিসেবে যারা জড়িত তারা বরাবরই থাকছে ধর ছোয়ার বাইরে। মাদক বন্ধ করতে হলে প্রয়োজন এসব রাঘব বোয়ালদের চিহ্নিত করে তাদের আইনের আওতায় আনা। এছাড়াও দরকার মাদক প্রবন এলাকায় বেশী বেশী করে অভিযানের পাশাপাশি জনসচেতনতা বাড়াতে আলোচনা সভা।
চারঘাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সিদ্দিকুর রহমান বলেন, সবেমাত্র থানায় যোগদান করেছি, বিষয়টা দেখছি। মাদকের সঙ্গে কোন ধরণের আপোষ করা হবে না। কে রাঘব বোয়াল, আর কে চুনোপুটি সবার সঙ্গেই দেখা হবে। যারাই জড়িত থাকবে তাদের খুজে বের করে আইনের আওতায় আনা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, মাদক বিরোধী অভিযান জোরদার করতে ইতোমধ্যে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে কথা হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে চারঘাটে মাদক বিরোধী অভিযান জোরদার করে জড়িতদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করা হবে। মাদকের সঙ্গে কোন ধরণের আপোষ নেই।


প্রকাশিত: অক্টোবর ৭, ২০২৩ | সময়: ৬:৪৪ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ