বাঘায় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর প্রচেষ্টায় শতভাগ বিদ্যুতায়সহ দুটি উপকেন্দ্র স্থাপন

নুরুজ্জামান,বাঘা :
রাজশাহীর বাঘায় বর্তমান আ’লীগ সরকারের একটানা ১৫ বছরে দু’টি নতুন বৈদ্যুতিক উপকেন্দ্র চালু করা হয়েছে। এই উপকেন্দ্র স্থাপনের মাধ্যমে ১১০ টি গ্রামে প্রায় ৯৬০ কিলোমিটার নতুন ভাবে বিদ্যুতায়নের মাধ্যমে অত্র উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়ন করা সম্ভব হয়েছে। এই বিদ্যুতায়নের আওতায় আলোর মুখ দেখেছে ৫৬ হাজার পরিবার। এ জন্য সরকারের ব্যায় হয়েছে প্রায় ৬০ কোটি টাকা। এ থেকে অত্র উপজেলায় বর্তমান গ্রাহক সংখ্যা দাড়িয়েছে ৬৫ হাজার। স্থানীয় লোকজন মনে করছেন, বাঘা-চারঘাট এর সাংসদ সদস্য শাহারিয়ার আলমের সুযোগ্য নেতৃত্বের কারণে এসব উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে। সম্প্রতি জাতীয় ও স্থানীয় সরকার দিবস উন্নয়ন মেলা ২০২৩ উপলক্ষে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বাঘা পল্লী বিদ্যুত অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার শী-সুবির কুমার দত্ত ।

 

 

 

বাঘা পল্লী বিদ্যুৎ অফিস সূত্রে জানা গেছে, নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর আওতায় বাঘা সাব-জোনাল অফিস এর মাধ্যমে অত্র উপজেলার মনিগ্রাম এলাকায় একটি এবং আড়ানীতে একটি বৈদ্যুতিক উপকেন্দ্র চালু করা হয়েছে। এ জন্য সরকারের ব্যায় হয়েছে প্রায় ২০ কোটি টাকা। এ ছাড়াও পোল এবং তার বাবদ ব্যায় হয়েছে আরো প্রায় ৪০ (চল্লিশ)কোটি টাকা। এই উপকেন্দ্র দু’টি চালু হওয়ার পর ৪ টি ফিলটারের মাধ্যমে বাঘা উপজেলার সর্বত্র বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে। এর ফলে একদিকে পূর্বের যে কোন সময়ের চেয়ে যেমন বিদ্যুৎ সরবরাহ বেড়েছে ,অন্যদিকে কমেছে লোড সেডিং। একই ভাবে পাশ্ববর্তী চারঘাট উপজেলায় পুরাতন বৈদ্যুতিক উপকেন্দ্রকে আধুনিকরণ করার মাধ্যমে সেখানেও শতভাগ বিদ্যুতায়ন করা হয়েছে।

 

 

 

অনুসন্ধানে জানা গেছে, বাঘায় বিগত সরকার আমলে নতুন ভাবে হাতে গোনা কিছু বৈদ্যুতিক সংযোগ দেয়া হলেও বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২০২২ সালে রাজশাহী ৬ চারঘাট-বাঘায় শতভাগ বিদ্যুতায়ন কাজ সম্পুর্ণ করা হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে দুর্গম এলাকা বাঘার চকরাজাপুর ইউনিয়নের পদ্মার চরাঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহের কারনে ঐ অঞ্চলের মানুষ বাঘা পল্লী বিদ্যুৎ অফিসারকে ধন্যবাদ জানানো সহ তারা স্থানীয় সাংসদ ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। চরাঞ্চলের চেয়ারম্যান বাবলু দেওয়ান এ প্রতিবেদককে বলেন , শাহরিয়ার আলম আমাদের অবিভাবক। তিনি স্বপ্ন দেখেন এবং সেটি বাস্তবায়ন করেন। বতমানে তাঁর কারণে আমরা চরাঞ্চলে পাকা রাস্তা পেয়েছি।

উপজেলার বাউসা এলাকার আব্দুল মালেক, চরাঞ্চলের মিজানুর রহমান, মনিগ্রামের সোহাগ হোসেন , ঝিনার নয়ন সরকার ও নিশ্চিন্তপুর গ্রামের হিমেল মিয়া জানান, আমরা কল্পনাও করতে পারিনি। এতো অল্প সময়ের মধ্যে বিদ্যুতের পরিশিমা (ব্যবকতা) এতোটা বৃদ্ধি পাবে। তাদের মতে, উপজেলার দুর্গম ও নির্ভিত্ত পল্লী এলাকায় নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ চালু হওয়ায় এখন বাতি (কুপ) কিংবা হারিকেন জ্বালিয়ে বাচ্চাদের আর পড়া-লেখা করতে হয় না। এখন তারা টিউব লাইট কিংবা এনার্জি বাল্প এর আলোয় পড়া-লেখা করছে। সেই সাথে বাড়িতে বসে টিভি দেখা-সহ কম্পিউটার চালাতে পারছে। তারা মনে করছেন, বাঘা-চারঘাটের সাংসদ ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহারিয়ার আলমের সুযোগ্য নেতৃত্ব ও বলিষ্ঠ ভূমিকার কারণে এ সকল উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে।

বাঘার বিশিষ্ঠ সমাজ সেবক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান খন্দকার মনোয়ারুল ইসলাম মামুন বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর উপজেলার দুর্গম পদ্মার চরাঞ্চলে শুধু বিদ্যুতের আলোই পৌঁছেনি, একই সাথে তারা পাকা রাস্তা পেয়েছে। অপর দিকে সমতল এলাকার প্রতান্ত অঞ্চলে ঘরে-ঘরে বিদ্যুৎ এবং পাকা রাস্তা-ঘাট ও উপজেলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নতুন-নতুন অত্যাধুনিক ভবন পেয়ে অত্র এলাকার মানুনের জীবনযাত্র একেবারে পাল্টে গেছে। আমার বিশ্বাস, এই সরকারের উন্নয়নের কথা চিন্তা করে আবারও চারঘাট-বাঘার মানুষ আওয়ামীলীগ সরকারকে ভোট দিয়ে নৌকাকে বিজয়ী করবেন।

 

 

এ বিষয়ে মাননীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আলহাজ শাহরিয়ার আলম বলেন, আমার লক্ষ ছিলো আগামী ২০২০ সাল নাগাদ চারঘাট-বাঘার ঘরে-ঘরে শতভাগ বিদ্যুতায়ন করবো। আমি সেটা করেছি। তবে এ কৃতিত্ব আমার নয়, এ কাজের জন্য সকল প্রশাংসার দাবিদার বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার । পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন , আমার নির্বাচনী এলাকা চারঘাট-বাঘায় গেলে এখন অনেক ভালো লাগে। বিশেষ করে দুই উপজেলার ৩ টি পৌর সভার আদালে পৌর এলাকার সকল রাস্তায় এখন আলো দেখতে পাওয়া যাই। এর বাইরেও ইউনিয়ন পর্যায়ের গুরুত্বপূর্ন মোড় এবং বাজার গুলোয় বসানো হয়েছে সৌর বিদ্যুৎ ল্যাম্প পোস্ট। এর ফলে মানুষের জীবন যাত্রা পাল্টে গেছে।

 

 

সার্বিক বিষয়ে বাঘা পল্লীবিদুৎ জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার শ্রী -সুবীর কুমার দত্ত বলেন, বিগত সময়ে এ উপজেলায় বিদ্যুতের ঘন-ঘন লোড সেডিং হলেও বর্তমান সরকার আমলে এখানে দুটি উপকেন্দ্র চালু হওয়ার পর থেকে প্রতিটি গ্রামে শতভাগ বিদ্যুৎ সরবরাহ-সহ বিদ্যুৎ সেক্টরে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। এর ফলে মানুষের জীবন মানেরও অনেক পরিবর্তন হয়েছে। তিনি এই উন্নয়নের জন্য স্থানীয় সাংসদ ও মাননীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

সানশাইন/সোহরাব

 

 


প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৩ | সময়: ৫:৩০ অপরাহ্ণ | Daily Sunshine