সর্বশেষ সংবাদ :

বাজারে সরবরাহ কম থাকায় কমছে না পেঁয়াজের দাম

স্টাফ রিপোর্টার, বাগমারা: বাগমারার হাট বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ কম থাকায় দাম চড়া। উপজেলা কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, এলাকার কৃষকের ঘরে ঘরে ও ব্যবসায়ীদের গুদামে এখনও শত শত মেট্রিক টন পেঁয়াজ মওজুত আছে। চাষীরা বেশি দামের আশায় তা মওজুত করে রেখেছে। অল্প অল্প করে বাজারে ছাড়ছে। অপরদিকে ব্যবসায়ীরাও আরো বেশি দাম পাওয়ার আশায় পেঁয়াজগুলো তাদের নিজস্ব গুদামে মওজুত করে রেখেছে। পেঁয়াজ ব্যবসায়ীদের মতে, মুড়িকাটি পেঁয়াজ ওঠার আগ পর্যন্ত তারা এ পেঁয়াজ ধীরে ধীরে বিক্রি করবে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মতে গত মৌসুমে এই উপজেলায় সাড়ে সাত হাজার হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের আবাদ করা হয়েছিল। উৎপাদনের পরিমান ছিল ১ লাখ ২০ হাজার মেট্রিক টন। তখন নতুন পেঁয়াজ ওঠার পর দাম পড়ে যায়। দেশি জাতের পেঁয়াজ প্রতি মণ ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা বিক্রি হয়। এরপর দাম ওঠানামা করতে থাকে। মে জুন মাসে দাম চড়ে প্রতি মণ বিক্রি হয় ১ হাজার ২শ টাকা থেকে ১ হাজার ৫শ টাকা। এরপর আরেক দফা দাম বেড়ে হয় ২ হাজার টাকা থেকে ২ হাজার ৪শ টাকা মণ।
ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানীর পর পেঁয়াজের দাম আবার মণ প্রতি ২ হাজার টাকায় নেমে আসে। এসময় ভারত পেঁয়াজ রপ্তানীর ওপর ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করলে পেঁয়াজের দাম আবার ওঠে প্রতি মণ ৩ হাজার টাকায় দাঁড়ায়।
উপজেলার মাড়িয়া গ্রামের পেঁয়াজ চাষী লুৎফর রহমান জানান, সাড়ে ৭ বিঘা জমিতে পেঁয়াজ চাষ করেন। প্রতি বিঘায় গড়ে ৭০ মণ করে ফলন হয়। তাতে ৫শ ২৫ মণ পেঁয়াজ হয়েছিল। এরমধ্যে ৩শ মণ পেঁয়াজ বিক্রি করেছেন। অবশিষ্ট পেঁয়াজ মওজুত রয়েছে। দাম আরো বাড়লে সেগুলো বিক্রি করবেন বলে ইচ্ছা পোষন করেন।
হামিরকুৎসা ইউনিয়নের খামারগ্রামের কৃষক মঞ্জুর রহমান ও রফিকুল ইসলাম জানান, এলাকার অবস্থা সম্পন্ন চাষীদের ঘরে এখনও পর্যাপ্ত পেঁয়াজ মওজুত আছে। তারা বলেন, ভেজাল বীজের কারণে গত মৌসুমে অনেক চাষী পেয়াজ চাষ করে মার খায়। এ কারণে পেয়াজের উৎপাদন কম হয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আব্দুল রাজ্জাক বলেন, এ উপজেলায় চাহিদার চেয়ে অতিরিক্ত পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছে। চাষীদের ঘরে এখনও পর্যাপ্ত পেঁয়াজ মওজুত রয়েছে। এ পেঁয়াজ তারা আস্তে আস্তে ছাড়ছে।


প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৫, ২০২৩ | সময়: ৬:২৮ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ