রাজশাহীতে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে বঙ্গমাতা ৯৩তম জন্মবার্ষিকী উদ্যাপন

স্টাফ রিপোর্টার:
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব’র ৯৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সারাদেশের মতো রাজশাহীতেও আজকের দিনটি নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে উদ্যাপিত হয়। এ উপলক্ষ্যে আজ মঙ্গলবার (০৮ আগস্ট) সকাল সাড়ে দশটায় জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে ‘সংগ্রাম-স্বাধীনতা প্রেরণায় বঙ্গমাতা’ শীর্ষক আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়।জেলা প্রশাসনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর।

 

 

 

প্রধান অতিথি বক্তব্যে ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর বলেন, মাত্র ৪৫ বছরের জীবনে বঙ্গমাতা তাঁর নিজের কথা না ভেবে বাংলাদেশের জনগণের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করেছিলেন। কীভাবে দেশের মানুষকে ভালো রাখা যায়, মানুষের খোঁজ-খবর নেয়া যায় তা তিনি ভাবতেন। বঙ্গবন্ধু যখন কারাগারে ছিলেন, তখন তিনি দেশের সামগ্রিক সংবাদ তাঁকে জানানোও তাঁর সিদ্ধান্তগুলো জনগণের কাছে পৌঁছানোর গুরুদায়িত্ব পালন করেছেন।
বিভাগীয় কমিশনার বলেন, বঙ্গমাতা স্বামীর সহযোদ্ধা হিসাবে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তাঁর সন্তানরা বলেছেন আমার মা একজন গেরিলা যোদ্ধা। আমার বাবার পেছেনের একমাত্র চালিকা শক্তি।এ সময় তিনি বঙ্গমাতার জীবনী থেকে নারীদের শেখার পরামর্শ দেন।

 

 

 

 

উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গভর্নমেন্ট ডিগ্রি কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. অলীউল আলম । জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি মোঃ আনিসুর রহমান, আরএমপি’র কমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদার, পুলিশ সুপার মোঃ সাইফুর রহমান বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, রাজনৈতিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, সাংবাদিকসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

 

 

 

 

অনুষ্ঠান শেষে রাজশাহী জেলার ১২৫ জন অসচ্ছল মহিলার হাতে সেলাই মেশিন ও স্বেচ্ছাসেবী মহিলা সমিতিগুলোর মধ্যে ১৭৯টি সমিতির অনুকুলে ৫৩ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকার অনুদানের চেক তুলে দেওয়া হয়। এছাড়া মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে ৪০ জন অসহায়, অসচ্ছল মহিলাকে ২ হাজার টাকা করে দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়।
এর আগে জেলা শিল্পকলা একাডেমি চত্ত্বরে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মু প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানানো হয়।

উল্লেখ্য,১৯৩০ সালের ৮ আগস্ট গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন তিনি। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তিনি বঙ্গবন্ধু, তাঁর তিন পুত্র ও দুই পুত্রবধূর সঙ্গে ধানমন্ডির বত্রিশ নম্বরের বাসায় ঘাতকের হাতে নির্মমভাবে শাহাদত বরণ করেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দীর্ঘদিনের আপসহীন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা ও বঙ্গবন্ধু হয়ে উঠা এবং তাঁর নেতৃত্বে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পেছনে এই মহিয়সী নারীর অবদান অপরিসীম। বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী জীবনের অনুপ্রেরণার অন্যতম উৎস ছিলেন তিনি।

 

 

সানশাইন/সোহরাব


প্রকাশিত: আগস্ট ৮, ২০২৩ | সময়: ৫:৩৫ অপরাহ্ণ | Daily Sunshine