মঙ্গলবার, ১৪ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৩১শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) নির্বাচনের এক কাউন্সিলর প্রার্থীর বাড়ির সামনে আরেক প্রার্থীর প্রচার মিছিলে ককটেল হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (১৭ জুন) বিকেলে নগরীর ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর ও আসন্ন নির্বাচনের প্রার্থী মতিউর রহমান মতির নির্বাচনী প্রচার মিছিলে এই হামলা হয় বলে থানায় অভিযোগ করা হয়।
নগরীর রাজপাড়া থানায় দায়ের করা মতির অভিযোগে দাবি করা হয়েছে, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী যুবলীগ নেতা জহিরুল ইসলাম রুবেলের সমর্থকরা প্রচার মিছিলে হামলা চালিয়েছেন। হামলায় মতির কয়েকজন কর্মী-সমর্থক আহত হয়েছেন। তাদের কয়েকজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে মতির সমর্থকরা নগরীর রাজপাড়া থানা ঘেরাও করেন। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
অপরদিকে, থানায় পাল্টা অভিযোগ দিয়ে জহিরুল ইসলাম রুবেল দাবি করেছেন, মতির মিছিল থেকে আমার বাড়ি লক্ষ্য করে ককটেল হামলা করা হয়েছে। এ সময় আমি বাড়িতে ছিলাম। খবর পেয়ে আমার সমর্থকরা প্রতিবাদ মিছিল বের করে থানা ঘেরাও করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার বিকেল ৫টার দিকে কাউন্সিলর প্রার্থী মতির নেতৃত্বে তাঁর একটি নির্বাচনী প্রচার মিছিল নগরীর ভাটাপাড়া এলাকা থেকে শুরু হয়। মিছিলটি চন্ডিপুর হয়ে শ্রীরামপুরের দিকে যাওয়ার সময় চন্ডিপুর এলাকায় অপর প্রার্থী রুবেলের বাড়ির সামনে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে। এসময় মিছিলকারী ছুটাছুটি শুরু করে। এক পর্যায়ে মতি ও রুবেল কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় উভয় পক্ষ ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ কর্মী-সমর্থক আহত হন। পরে কয়েকজনকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। ঘটনার পর থেকে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের ৭ নম্বর ওয়ার্ডেরর বর্তমান কাউন্সিলর ও প্রার্থী মতিউর রহমান অভিযোগ করে বলেন, ‘যুবলীগ কর্মী রুবেলের উপস্থিতিতে এ হামলা হয়েছে। গত কয়েকদিন থেকেই রুবেল আমাকে হত্যার হুমকি দিচ্ছেন। আমি রাজপাড়া থানায় দুটি সাধারণ ডায়েরি করেছি। কিন্তু পুলিশ কোনো ভূমিকা নেয়নি। উল্টো আমাদের কয়েকজনকে এর আগেও পেটানো হয়েছে। আজ আবার রুবেলে নেতৃত্বে মিছিলে বোমা হামলা হয়েছে। তার মতো সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে পুলিশ কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় সে আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।’
জহিরুল ইসলাম রুবেল বলেন, মতির মিছিল থেকে আমার বাড়িতে হামলা চালানো হয়েছে। ঘটনার পর আমার কর্মী-সমর্থকেরা থানায় যায়। এর পর থানায় একটি অভিযোগ দিয়ে তারা চন্ডিপুর প্রেসক্লাব মাঠে অবস্থান করে। পরে মতির থানায় গিয়ে উল্টো আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছে। মতি ও তার কর্মীরা নির্বাচন বিতর্কিত করার জন্য আমার বিরুদ্ধে বিভিন্নভাবে অপপ্রচার ও উস্কানি দিয়ে পরিস্থিত উত্তপ্ত করার চেষ্টা করে আসছিল। কিন্তু আমি শান্ত থেকে প্রচার প্রচারণা চালিয়ে এসেছে।
রাজপাড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মইনুল বাশার বলেন, ‘কাউন্সিলর প্রার্থী মতিউরের মিছিলে ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগ তুলে বেশকিছু নারী পুরুষ থানায় এসেছিলেন। মতি থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। আরেক প্রার্থী রুবেল বলছেন, তার বাড়িতে বোমা হামলা হয়েছে। তিনিও থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। আদৌ বোমা বা ককটেল ছিল কিনা, সেটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’