নরসিংদীতে ছাত্রদলের সংঘর্ষে আহত আশরাফুলও মারা গেছেন

সানশাইন ডেস্ক: নরসিংদী সদরে ছাত্রদলের দুপক্ষের সংঘর্ষের মধ্যে গুলিতে আহত আশরাফুল ইসলামও মারা গেছেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার সকালে ২৩ বছর বয়সী ওই তরুণের মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া।
বৃহস্পতিবার বিকালের ওই সংঘর্ষের ঘটনায় এ নিয়ে দুই জনের মৃত্যু হল। সংঘর্ষের পরপরই সন্ধ্যায় ছাত্রদল নেতা সাদেকুর রহমানের (৩২) মৃত্যু হয়েছিল। নিহত আশরাফুল সদর উপজেলার সিটিপাড়া গ্রামের নাজমুলের ছেলে। আর সদর উপজেলার হাজীপুর গ্রামের মৃত আলাউদ্দিনের ছেলে সাদেক ছিলেন নরসিংদী জেলা ছাত্রদলের সাবেক জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক।
গত ২৬ জানুয়ারি সিদ্দিকুর রহমান নাহিদকে সভাপতি, মাইনুদ্দিন ভুইয়াকে জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ও মেহেদী হাসানকে সাধারণ সম্পাদক করে পাঁচ সদস্যের (আংশিক) জেলা কমিটি অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় ছাত্রদল। ওই কমিটি বাতিলের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে আসছিলেন পদ না পাওয়া সংগঠনের একাংশের নেতা-কর্মীরা। এর জেরে বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও নরসিংদী জেলা আহ্বায়ক খায়রুল কবীর খোকনের চিনিশপুরের বাসভবনে একাধিকবার হামলার ঘটনাও ঘটে।
নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এস এম ই ফজল-ই-খুদা জানান, বৃহস্পতিবার চিনিশপুরে বিএনপির কার্যালয়ের পাশে মোটরসাইকেল নিয়ে বিক্ষোভ করছিলেন জেলা কমিটিতে পদ না পাওয়া একদল নেতা-কর্মী। এ সময় আরেকটি পক্ষের নেতা-কর্মীরা তাদের ওপর হামলা চালায়। এতে মাথা ও পিঠে গুলিবিদ্ধ হন সাদেক ও আশরাফুল।
আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে নরসিংদী জেলা হাসপাতালে এবং পরে অবস্থার অবনতি হলে তাদের ঢাকা মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল। সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে ঢাকা মেডিকেলে সাদেককে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। আর রাতে আশরাফুলের অস্ত্রোপচার করা হয়। পোস্ট অপারেটিভে থাকা অবস্থায় সকালে তার মৃত্যু হয়।


প্রকাশিত: মে ২৭, ২০২৩ | সময়: ৫:২৯ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ