বাঘায় জয়িতা ঋণ পেতে নারীদের ভোগান্তি !

স্টাফ রিপোর্টার,বাঘা : নারী উদ্যোক্তাদের পথচলা সহজ করতে দেয়া হবে স্কুটি ঋণ । মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র নির্দেশনায় জয়িতা ফাউন্ডেশন , ব্যক্তি নারী উদ্যোক্তা ও নারী উদ্যোক্তা সমিতির সহায়তায় কাজ করে যাচ্ছে। জয়িতা ফাউন্ডেশনে নিবন্ধিত হয়ে সহজ শর্তে ও স্বল্প সুদে এ ঋণ পাওয়া সম্ভব। এ দিক থেকে ব্যাংক কর্তপক্ষের গাফলতির কারণে জয়িতা স্কুটি লোন পেতে ভোগান্তির শিকার হয়েছেন বাঘার শতাধিক নারী। তারা বিপাকে পড়ে এ বিষয়ে স্থানীয় সাংসদ ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দারস্থ হয়েছেন।

সংশ্লিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ জয়িতা ফাউন্ডেশনের রিভলভিং ক্যাপিটাল সাপোর্ট ফান্ড থেকে মাত্র ৫ শতাংশ হার (সুদে) স্কুটি ঋণ দেয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। এ জন্য গত ২০ অক্টোবর ২০২২ বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয় ।যাতে করে গ্রামীন নারীরা এ ঋণের মাধ্যমে সাবলম্বী হতে পারে। কিন্তু বাঘার চিত্র একটু ভিন্ন। এ উপজেলায় প্রায় শতাধিক নারী এই ঋনের আবেদন করলেও 40 জনের ঋণ কার্যক্রম অনুমোদন হয়ে ম্যাছেজ এসছে বাঘা সদরে অবস্থিত এন.আর.বিসি. ব্যাংক শাখায় ।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পত্রিকায় প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি দেখে গত নভেম্বর মাসে বাঘার প্রায় শতাধিক নারী উদ্যোক্তা ঋণ আবেদন করেন। উক্ত নারী উদ্যোক্তাদের মধ্য থেকে ঐ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১ লা ফেব্রুয়ারি ২০২৩ এন.আর.বিসি ব্যাংক বাঘা শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যানেজার সঞ্জয় কুমার প্রতিটি নারীর উদ্যোক্তাদের বাসায় গিয়ে একটি করে অ্যাকাউন্ট খোলায়। এরপর থেকে নারী উদ্যোক্তাগণ প্রায়ই ব্যাংকে এসে তাদের ঋণের খোঁজ খবর জানতে চান। তখন ব্যাংকের দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসারগণ বলেন যে, আমরা ফাইল রেডি করছি পাঠাচ্ছি, পাঠাইছি আগামী সপ্তাহে হবে এই রূপ বলতে বলতে দীর্ঘ দুই মাস অতিক্রম করে। এরপর উক্ত নারী উদ্যোক্তাদের মধ্য থেকে ব্যাংকে খোঁজখবর নিতে আসলে ম্যানেজার বলে আমাদেরকে বারবার বিরক্ত করবেন না । আমরা তো আপনাদের কাজ করতে চাই। এ জন্য সময় লাগবে ।

এদিকে এরুপ পরিস্থিতির সম্মখিন হয়ে উক্ত নারী উদ্যোক্তারা গত 15 এপ্রিল চারঘাট-বাঘার সাংসদ ও মাননীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব শাহরিয়ার আলম বাঘা উপজেলায় একটি প্রোগ্রামে আসলে মন্ত্রী মহোদয়ের কাছে মৌখিক অভিযোগ প্রদান করেন তাঁরা। বিষয়টি স্থানীয় সাংবাদিকরাও অবগত হন। আবেদনকারির মধ্যে রয়েছে, বৃষ্টি এন্টারপ্রাইজ, নিলু বুটিক হাউস, ঝরনা মুদি ও ফার্মেসী, ময়না এন্টারপ্রাই , সামি এন্টারপ্রাইজ, মৌসুমী এন্টারপ্রাইজ, শাহনাজ নকশি কাঁথা, রিফাত বুটিক হাউস, ময়না নকশি কাঁথা-সহ আরো অনেকে।

এ বিষয়ে এনআরবিসি ব্যাংকের ব্যবস্থাপন সঞ্জয় কুমার বলেন, যারা ঋণ প্রস্তাব করেছে তাদের ব্যবসার অনুকুলে অনেকের সাইনবোর্ড নাই। অনেকের রেজিস্টেশান নাম্বার থাকলেও জয়িতা ফাউন্ডেশনের সার্টিফিকেট নাই। এ জন্য ঋণ দিতে সমস্যা হচ্ছে। তার পরেও আমরা চেষ্টা করছি। বিষয় গুলো পক্রিয়াধিন রয়েছে বলে তিনি জানান ।


প্রকাশিত: এপ্রিল ১৮, ২০২৩ | সময়: ১০:১৮ পূর্বাহ্ণ | সানশাইন