সর্বশেষ সংবাদ :

মাহে রমজান

স্টাফ রিপোর্টার : রমজানুল মোবারক হিজরি বর্ষের নবম মাস। এ মাসের মর্যাদা ও মাহাত্ম্য অপরিসীম। এ মাসে বৃষ্টির মতো বর্ষিত হয় প্রভুর রহমধারা। মাগফিরাতের বন্যায় ভেসে যায় গুনাহের আবর্জনা। মুক্তি মেলে জাহান্নামের কঠিন শাস্তি থেকে। মু’মিনের জন্য এটি বোনাসের মাস। ফসল তোলার মাস। ইবাদত-বন্দেগি, জিকির-আজকার ও আত্মশুদ্ধির মাধ্যমে মু’মিন এ মাসে পৌঁছে যায় প্রভুর বিশেষ সান্নিধ্যে। জাগতিক চাহিদা, লোভ-লালসা ও অপরাধের বৃত্ত থেকে বেরিয়ে ঈমানের দীপ্ত স্বাদ অনুভব করেন বিশেষভাবে। এ মাসের রয়েছে কিছু বিশেষত্ব।
রহমতের মাস : নবীজী সা: বলেন, ‘যখন রমজান মাস আসে তখন জান্নাতের দরজাগুলো খুলে দেয়া হয় এবং জাহান্নামের দরজাগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়। আর শয়তানদের শৃঙ্খলিত করা হয়।’ (সহিহ বুখারি : ১৮৯৮) অন্য হাদিসে এসেছে, ‘…একজন ঘোষক ঘোষণা করতে থাকেন, ‘হে কল্যাণকামী, আগে বাড়ো! হে পাপী, এবার থামো! আর আল্লাহ তায়ালা এ মাসের প্রত্যেক রাতে অসংখ্য জাহান্নামিকে মুক্তি দান করেন!’ (জামে তিরমিজি : ৬৮২)
কুরআন নাজিলের মাস : মাহে রমজান দামি হওয়ার অন্যতম কারণ হলো- এ মাসেই পূর্ণ কুরআন মাজিদ ‘লাওহে মাহফুজ’ থেকে দুনিয়ার আসমানে অবতীর্ণ হয় এবং নবীজী সা:-এর ওপর এ মাসেই (প্রসিদ্ধ মতানুসারে ১৭ রমজান) প্রথম ওহি- সূরা আলাকের প্রথম পাঁচ আয়াত নাজিল হয়। ইরশাদ হয়েছে, ‘রমজান মাস এতে নাজিল হয়েছে আল-কুরআন, যা মানুষের জন্য হেদায়েত এবং সুপথ প্রাপ্তির সুস্পষ্ট পথনির্দেশ ও হক-বাতিলের মধ্যে পার্থক্যকারী। সুতরাং তোমাদের যে কেউ এ মাস পাবে সে যেন অবশ্যই এর রোজা রাখে।’ (সূরা বাকারা : ১৮৫)


প্রকাশিত: মার্চ ২৯, ২০২৩ | সময়: ৬:৩২ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ