বুধবার, ৩১শে মে, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১৭ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ।
সানশাইন ডেস্ক : একাত্তরের অগ্নিঝরা মার্চে পরিস্থিতি তখন বিস্ফোরন্মুখ। ১৪ মার্চ বঙ্গন্ধুর কাছ থেকে এল জনতার আন্দোলনকে আরও এগিয়ে নেওয়ার ঘোষণা। সেদিন সকালে ধানমণ্ডির বাসভবনে ন্যাপ নেতা আবদুল ওয়ালী খানের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। অন্য আওয়ামী লীগ নেতাও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে বঙ্গবন্ধু সাংবাদিকদের বলেন, “আমাদের সংগ্রাম স্বাধীন দেশের স্বাধীন নাগরিক হিসেবে বেঁচে থাকার সংগ্রাম। জনগণের সার্বিক স্বাধীনতা অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত এই সংগ্রাম চলবে।”
রাতে এক বিবৃতিতে তিনি সবাইকে অসহযোগ আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে ৩৫ দফা নির্দেশনা জারি করেন। আগের দিনের জারি করা সামরিক ফরমানের প্রতিবাদের ঢাকায় মিছিল করেন প্রতিরক্ষা দপ্তরের বেসামরিক কর্মচারীরা।
ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ সম্পদ পাচার রোধের অংশ হিসেবে ঢাকার কয়েকটি স্থানে চেকপোস্ট বসায়।
চট্টগ্রাম সংগ্রাম পরিষদ সারা শহরে মিছিল করে। হাজার হাজার মুক্তিকামী মানুষের এই মিছিল জয় বাংলা ধ্বনিতে প্রকম্পিত করে সারা চট্টগ্রাম শহর।
জাতীয় লীগ নেতা আতাউর রহমান খান অস্থায়ী সরকার গঠনের জন্যে শেখ মুজিবুর রহমানকে আহ্বান জানান। এদিকে ১৪ মার্চ করাচিতে জুলফিকার আলী ভুট্টো এক সমাবেশে এক পাকিস্তান ও দুই অঞ্চলে দুই দলের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবি জানিয়ে একটি ‘ফর্মুলা উদ্ভাবনের’ প্রস্তাব দেন।