সর্বশেষ সংবাদ :

আবাসন মেলায় নান্দনিক রুপে সেজেছে এমকেএইচ স্টল

স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহীর আবাসন ব্যবসায়িদের সংগঠন রেডা’র আয়োজনে নগর ভবনের গ্রীন প্লাজায় শনিবার ( ২৫ ফেব্রুয়ারি) থেকে আগামী ৩রা মার্চ শুক্রবার পর্যন্ত সপ্তাহব্যাপি ৫ম আবাসন মেলার আয়োজন করা হয়েছে।
এ মেলায় ঢুকতেই চোখে পড়বে এমকেএইচ এর নান্দনিক স্টল। রাজশাহীতে যতগুলো বহুতল ভবন তৈরির প্রতিষ্ঠান রয়েছে তার মধ্যে এমকেএইচ অন্যতম। আবাসন খাতের শুরু হয় মূলত এমকেএইচসহ আরো দুই তিনটি প্রতিষ্ঠানের হাত ধরে রাজশাহীতে। সর্বপ্রথম এমকেএইচ ডেভেলপার প্রতিষ্ঠানটি তৈরি করে স্বচ্ছ টাওয়ার। মহানগরীর আলুপট্টি মোড়ে অবস্থিত ছিল এই আবাসন প্রতিষ্ঠানের প্রথম বানানো সুউচ্চ ভবন। ১৬ তলা বিশিষ্ট এ ভবন দেখার জন্য মহানগরীর সহ দূর-দুরান্ত থেকে মানুষ আসে এ ভবন দেখার জন্য। এছাড়া উপশহরে ৯তলার সুখের নীড় ও ১০ তলা জুবেরী টাওয়ার,ইউনুস টাওয়ার ভবনগুলো ইতোমধ্যেই কাজ শেষ করা হয়েছে।
চলমান প্রজেক্টগুলোর মধ্যে রয়েছে উপশহরে ১২ তলা সালেহা তাহেরা টাওয়ার, সাগরপাড়ায় ১০তলা বিশিষ্ট নাহার ভিলা,শিরোইলে ৮ তলা বিশিষ্ট মাতলুব এপার্টমেন্ট,ঢাকা বাস টার্মিনালের সামনে ১০তলা বিশিষ্ট তাজ টাওয়ার,উপশহরে ৯তলা বিশিষ্ট চৌধূরী টাওয়ার সহ আরো কয়েকটি।
এছাড়াও গোধূলী টাওয়ার,শোভা ভিউ,রাজিয়া প্যালেস,কেনেডি জোন,ড্রিম প্যালেস,এএম টাওয়ার,প্যারাডাইস হোম ভবনগুলোর কাজ করেছে এমকেএইচ নামের আবাসন তৈরিকারী প্রতিষ্ঠানটি।
এ প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মো: কবির হোসেন জানান, রাজশাহী শহরে আমরা সর্বপ্রথম ১৭ তলা স্বচ্ছ টাওয়ার করি। এরপর আমাদের আর ফিরে তাকাতে হয়নি। আধুনিক ভবন, গাড়ি পার্কিং সুবিধা, নির্দিষ্ট সময়ে ফ্লাট হস্তান্তর করায় প্রতিষ্ঠানের সুনাম সব জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে। এরপর আরো কয়েকটি প্রজেক্ট আমরা ভবন তৈরি করা থেকে হস্তান্তর করার কাজ সময়ের আগেই বুঝিয়ে দিয়েছি। এতে আমাদের উপর আস্থা পেয়েছে জমির মালিকরা। বর্তমানে আরো ১২ টি প্রজেক্ট এর কাজ চলছে।
মেলায় এমকেএইচ স্টলে ভালো সাড়া পাচ্ছেন দর্শণার্থীদের জানিয়ে তিনি বলেন, মেলাতে সেভাবে ফ্লাট বিক্রি হয়না তবে এক ছাদের নিচে ভালো ভালো আবাসন ব্যবসায়ীদের কাজগুলো লিফলেট বইয়ে থাকায় কার্যক্রমগুলো জানতে পারে মানুষরা। ইটা ইতিবাচক দিক। বর্তমানে যে হারে দাম বাড়ছে জিনিসপত্রের অথচ এক শ্রেণীর কিছু প্রতারক ব্যবসায়ী অল্প দামে ফ্লাট দেয়ার নামে চটকদার বিজ্ঞাপন দিচ্ছে। এটি থেকে আমাদের সচেতন হতে হবে। আমরা মেলাতে এ জিনিস টি বোঝানোর চেষ্টা করছি দর্শণার্থীদের। সারা জীবনের কষ্টের আয় করা টাকা যেনো ভূল জায়গায় না দিয়ে আজীবন কষ্ট পেতে হয়।
তিনি বলেন,রেডার সদস্যভূক্ত যারা রয়েছেন তাদের কাছে ফ্লাট কেনা কিংবা জমিতে বহুতল ভবনের কাজ দিলে নিশ্চিন্তে থাকতে পারবেন জমির মালিকরা। রেডা আবাসন ব্যবসায়ীদের একটি সংগঠন। কোন সমস্যা থাকলে রেডা’র মাধ্যমে সমাধান করা যাবে কিন্তু নামে বেনামি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ফ্লাট কিনলে বা জমি দিলে সেক্ষেত্রে আর কিছু করার থাকবে না আমাদের।
উল্লেখ্য রাজশাহীর অবকাঠামোগত উন্নয়নের প্রধান অংশীদার রিয়েল এস্টেট এন্ড ডেভেলপার্স এসোসিয়েশন রেডা’র এবারের আয়োজন হচ্ছে আরো বড় পরিসরে। এবার ২৭টি কোম্পানীর ৬০ টি স্টল থাকছে। এবার আবাসন মেলায় আর্থিক লোন দেয়ার জন্য ব্যাংক,টাইলস,লিফট বিক্রির প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য কয়েক স্টল বরাদ্দ ছাড়াও উদ্যোক্তা গ্রুপের জন্য ১৬টি পিঠার স্টল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন রেডা’র সাধারন সম্পাদক মিজানুর রহমান কাজী।
প্রতিদিন সকাল দশটা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থার মাধ্যমে এ মেলায় প্রবেশ ফ্রি থাকবে সকলের জন্য।


প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২৩ | সময়: ৬:২৯ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ