তাহেরপুরে পানি দেখে রোগ নির্ণয় করা সেই কথিত চিকিৎসক গ্রেপ্তার

স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার তাহেরপুর পৌরসভার হরিফলা মহল্লায় নিজ বাড়িতে পানি দেখে রোগ নির্ণয় করে চিকিৎসা দেয়ার নামে প্রতারণা চালানো সেই কথিত চিকিৎসক মাহাবুর রহমান রাজুকে দুই সহযোগিসহ গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। মঙ্গলবার বিকেলে র‌্যাবের একটি দল অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার তার দুই সহযোগির মধ্যে একজনের নাম হাসান। সে রাজুর দেহরক্ষী হিসেবে তার সঙ্গে সব সময় থাকে। তার ক্যাডার বাহিনীকে নিয়ন্ত্রণ করে হাসান। আর অপরজনের নাম আলামিন। সে চিকিৎসা সহকারি হিসেবে সব সময় রাজুর চেম্বারে তাকে।
র‌্যাব সূত্রে জানা গেছে, সোমবার ও মঙ্গলবার গণমাধ্যমে চিকিৎসার নামে প্রতারণার একটি খবর প্রকাশিত হয়। সেটি আমলে নিয়ে র‌্যাব মাহাবুর রহমান রাজুর বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় রাজু চিকিৎসক হিসেবে কোন বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। এছাড়াও চিকিৎসার নানা কৌশল অবলম্বর করে সে রোগিদের সাথে প্রতারণা করে আসছিল। যার প্রমানও পাওয়া যায়। এ কারণে দুই সহযোগিসহ রাজুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
প্রায় ১০ বছর ধরে নিজ বাড়িতে চিকিৎসার নামে প্রতারণা চালিয়ে যাচ্ছেন ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে ৪৪ বছর সাজাপ্রাপ্ত কথিত গ্রাম্য চিকিৎসক মাহাবুর রহমান রাজু। চিকিৎসাবিদ্যা না থাকলেও সমাধান দিচ্ছেন হৃদরোগসহ জটিল সব রোগের। এতে প্রতারিত আর সর্বশান্ত হচ্ছেন হাজারো মানুষ।
রোগির সামনে রাখে এক গ্লাস পানি। সেই পানিতে দেখেই রোগির রোগ নির্ণয় এবং কি চিকিৎসা দেয়া হবে তা বলে দেন কথিত গ্রাম্য চিকিৎসক মাহাবুর রহমান রাজু। বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিদিন দেড় থেকে দুইশো রোগি চিকিৎসা নিতে যায় তার কাছে। পুরাতন রোগিদের কাছে এক হাজার নিলেও নতুন রোগিদের গুনিতে হয় দুই থেকে তিন হাজার টাকা। আর সাথে ধরিয়ে দেন কিছু ওষুধও। নিজেকে এসএসসি পাস দাবি করলেও কত সালে পাস করেছেন তা জানাতে পারেননি এই এই প্রতারক চিকিৎসক। কোন প্রশিক্ষণ না থাকলেও হৃদরোগসহ জটিল সব রোগের চিকিৎসা দিচ্ছেন মাহাবুর রহমান।


প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২৩ | সময়: ৭:২২ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ