আখ সংকটে বন্ধ নাটোর চিনিকল

স্টাফ রিপোর্টার, নাটোর: নাটোর চিনিকল এলাকার জমিতে এখনও প্রায় ২০ হাজার মেট্রিক টন আখ দন্ডায়মান থাকার পরও চিনিকলে আখ সরবারহ না থাকায় ২০২২-২৩ মাড়াই মৌসুম উদ্বোধনের মাত্র ৩৭দিনের মাথায় আখ মাড়াই বন্ধ হয়ে গেছে।
শনিবার দুপুর সোয়া দুইটার দিকে মাড়াই মৌসুম সমাপ্ত করার বিষয়টি নাটোর চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ ফরিদ হোসেন ভূইঁয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গত ২ ডিসেম্বর নাটোর চিনিকলের ডোঙ্গায় আখ ফেলে ৩৯তম মাড়াই মৌসুম উদ্বোধণ করা হয়েছিল। উদ্ধোধনের ৩৭ দিনের মাথায় ব্যাপক আখ সংকটে পড়ে চিনিকলটি। এসব আখ চাষিরা বেশি দামে পাওয়ার ক্রাশারে গুড় ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করছেন।
নাটোর চিনিকলের একাধিক সূত্রে জানা গেছে, ৫৪ দিনের কর্মদিবসে ৮০ হাজার মেট্রিক টন আখ মাড়াই করে ৪ হাজার ৯৬০ মেট্রিক টন চিনি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে চিনিকলটির ২০২২-২৩ মাড়াই মৌসুম শুরু হয়। ৩৭ দিনের মাথায় মাত্র ৫০ হাজার ৭৩৮ মেট্রিক টন আখ মাড়াই করে আখের অভাবে বন্ধ হয়ে যায় চিনিকলটি।
নাটোর চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ কর্মকর্তারা চাষিদের আখ সরবারহ করার জন্য উদ্বুদ্ধ করেও তারা মিলে আখ সরবারহ করেননি। আখ চাষিরা তাদের জমির উৎপাদিত আখ গুড় ব্যবসায়ীদের কাছে বেশি দামে বিক্রি করছেন।
নাটোর চিনিকল থেকে চাষিদের সার, বীজ ও নগদ টাকাসহ ঋণ নিয়ে চুক্তি মোতাবেক মিলে আখ সরবারহের কথা থাকলেও অতিরিক্ত মুনাফায় পাওয়ার ক্রাশারে আখ বিক্রি করছেন। মিলটি ৩৭ দিনে ৫০ হাজার ৭৩৮ মেট্রিক টন আখ মাড়াই করেছে।
নাটোর চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ ফরিদ হোসেন ভূইঁয়া বলেছেন, পাশের লালপুর ও বাগাতিপাড়া উপজেলায় অনেক পাওয়ার ক্রাশার চালু থাকায় সরকার নির্ধারিত মুল্যের চেয়ে অতিরিক্ত মূল্যে পাওয়ায় নাটোর চিনিকল এলাকার অনেক আখ চাষী তাদের উৎপাদিত আখ চিনিকলে সরবরাহ না করে সেখানে বিক্রি করেছে। ফলে আখের সংকটে পড়ে নাটোর চিনিকলটি বন্ধ হয়ে গেল।


প্রকাশিত: জানুয়ারি ৮, ২০২৩ | সময়: ৫:০৪ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ