নরমাল ডেলিভারির আস্থা অর্জন করেছে ভোলাহাট হাসপাতাল

ভোলাহাট প্রতিনিধি: ভোলাহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গর্ভবতী নারীদের নরমাল ডেলিভারির সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। অপ্রয়োজনে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সন্তান জন্মদানে নিরুৎসাহিত করছেন চিকিৎসকরা। অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর থেকে কাউন্সিলিং করা হচ্ছে নারীদের।
আধুনিক এ যুগে জীবনমান উন্নত হওয়ার সাথে সাথে চিকিৎসা ব্যবস্থারও উন্নতি হয়েছে অনেকগুণ। এক সময় প্রসবকালে ব্যথার অনাকাক্সিক্ষত ভয়, বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোর মুনাফার লোভ এবং মা ও তার পরিবারের অসচেতনতার কারণেই সিজারিয়ান অপারেশনে আগ্রহ বাড়ে নারীদের। কমতে থাকে নরমাল ডেলিভারি।
তবে ভোলাহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ব্যতিক্রম ঘটেছে। গত বছরের অক্টোবরে ৩৮ নভেম্বরে ৪৯ ও ডিসেম্বরে নরমাল ডেলিভারি হয়েছে ৪২ জনের।
উপজেলার তাতীপাড়া গ্রামের মেহেদী হাসান সবুজের স্ত্রী সোনীয়া জানান, তার ১ম বাচ্চা নরমাল ডেলিভারি হওয়ায় খুব খুশি হয়েছেন। তিনি বলেন, সিজার করলে টাকাও বেশী খরচ হতো আমার ও বাচ্চার কষ্ট হতো।
মুশরীভূজা গ্রামের টিপু সুলতানের স্ত্রী বাকেরা বেগম জানান, আমার প্রথম বাচ্চা সিজার না করে নরমাল ডেলিভারি হওয়ায় আমরা খুব আনন্দিত।
ময়ামারী গ্রামের জাহিদুলের স্ত্রী রোজিনার প্রথম বাচ্চা সিজার না করেই নরমাল ডেলিভারি হওয়ায় খুব খুশি হয়েছি। তিনি ভোলাহাট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাহাবুব হাসান জানান, সিজারিয়ানের একজন মা ও শিশুর কি ধরনের ক্ষতি হয় তা তারা জানেনা। আমরা তাদের জানোর জন্য কাউন্সিলিং করছি। এতে করে গত তিন মাসে ১২৯ মায়ের নরমাল ডেলিভারি করেছি।
তিনি আরো বলেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একজন চিকিৎসক ও ৫ জন মিড ওয়াইফ সার্বক্ষণিক নিয়োজিত আছেন। প্রসব ব্যাথা আসলে দ্রুত স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসার অনুরোধ করেছেন।


প্রকাশিত: জানুয়ারি ৪, ২০২৩ | সময়: ৫:১৪ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ