তথ্য না দেয়ায় গোদাগাড়ী খাদ্য নিয়ন্ত্রকের অর্থদণ্ড

গোদাগাড়ী প্রতিনিধি: তথ্য কমিশনের নির্দেশনা সত্ত্বেও তথ্য প্রদান না করায় রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক শফিকুল ইসলামকে অর্থদন্ড দিয়েছে বাংলাদেশ তথ্য কমিশন। রোববার সকালে তথ্য কমিশনের শুনানি শেষে প্রধান তথ্য কমিশনার মরতুজা আহমদ এই আদেশ দেন।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক শফিকুল ইসলাম তথ্য অধিকার আইন (২০০৯) লঙ্ঘন করায় প্রধান তথ্য কমিশনার তাকে ১ হাজার টাকা অর্থদন্ড প্রদান ও আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে তথ্য আবেদকনারীকে তথ্যমূল্য চেয়ে চিঠি প্রদান ও তথ্য প্রদান করতে কড়া নির্দেশনা প্রদান করেন। শুনানিতে আরো অংশ গ্রহণ করেন তথ্য কমিশনার সুরাইয়া বেগম ও ডক্টর আব্দুল মালেক।
জানা যায়, গোদাগাড়ী উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক বরাবর গত ১৬ মার্চ গোদাগাড়ী পৌর এলাকার আব্দুল বাতেন বিভিন্ন তথ্য চেয়ে আবেদন করেন। তথ্য অধিকার আইন (২০০৯) অনুযায়ী ২০ কার্যদিবসের মধ্যে তথ্য দেওয়ার নিয়ম থাকলেও তথ্য প্রদানকারী কর্মকর্তা উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক শফিকুল ইসলাম আবেদন কারীকে তথ্য প্রদান করেননি।
পরে আবেদনকারী তথ্য কমিশনে অভিযোগ করার পর সমন জারি করলে গত ২২ আগস্ট শুনানি হয়। এতে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক শফিকুল ইসলাম ও অভিযোগকারী আব্দুল বাতেন অংশ গ্রহণ করলে উভয়ের কথা শুনে আগামী ২০ কার্যদিবসের মধ্যে তথ্য প্রদান করতে বলে। তথ্য প্রদানের জন্য তথ্য অধিকার আইন অনুযায়ী আবেদনকারীকে তথ্যমূল্য চেয়ে চিঠি প্রদান করতে বললেও সেটিও উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্ণপাত করেননি।
পরে অভিযোগকারী আবারও তথ্য কমিশনে অভিযোগ দিলে রোববার ১১ ডিসেম্বর শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। এতে উভয় পক্ষের শুনানি হলে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক শফিকুল ইসলামের তথ্য কমিশনের নির্দেশনা যথাযথ ভাবে পালন না করা ও তথ্য প্রদান না করার বিষয়টি প্রমাণিত হয়। তথ্য অধিকার আইন (২০০৯) লঙ্ঘন করায় শফিকুল ইসলামকে এ দন্ড দেওয়া হয়।


প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১২, ২০২২ | সময়: ৬:৪৮ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ