তাসকিনের ২ বলে ২ উইকেট পোড়াচ্ছে ডাচদের

স্পোর্টস ডেস্ক: লক্ষ্য যত রানেরই হোক, ইনিংসের প্রথম দুই বলে দুই উইকেট হারিয়ে ফেললে কাজটা হয়ে যায় ভীষণ কঠিন। বাংলাদেশের বিপক্ষে নেদারল্যান্ডসও পারেনি সেই ধাক্কা সামলে উঠতে। শুরুতে উইকেট দুটি না হারালে ম্যাচের ফল ভিন্ন হতে পারত বলে মনে করেন ডাচদের হয়ে লড়াই করা কলিন আকারম্যান।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভে সোমবার হোবার্টে বাংলাদেশকে ১৪৪ রানে আটকে দিয়ে জয়ের ছবি আঁকছিল নেদারল্যান্ডস। কিন্তু সেই ছবি পূর্ণতা পায়নি তাদের ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায়। তাসকিন আহমেদ ইনিংসের প্রথম দুই বলে ফিরিয়ে দেন বিক্রমজিত সিং ও বাস ডে লেডেকে। অ্যাঙ্গেলে বেরিয়ে যাওয়া বলে স্লিপে ক্যাচ দেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান বিক্রমজিত। অফ স্টাম্পের বাইরের বল খেলতে গিয়ে কিপারের গ্লাভসে ধরা পড়েন ডে লেডে।
এরপর চতুর্থ ওভারে তিন বলের মধ্যে রান আউট হয়ে যান ম্যাক্স ও’ডাওড ও টম কুপার। ১৫ রানে ৪ উইকেট হারানো নেদারল্যান্ডস জয়ের সম্ভাবনা জাগাতে পারেনি কখনোই। আকারম্যান এক প্রান্তে লড়াই চালিয়ে যান। তবে, তার ৪৮ বলে ৬২ রানের ইনিংস হারের ব্যবধানই কমায় শুধু। ম্যাচটি বাংলাদেশ জিতে নেয় ৯ রানে।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে আকারম্যানও স্বীকার করে নিলেন, শুরুতেই ওই দুটি উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে অনেকটা পিছিয়ে পড়ে তারা। একই সঙ্গে বোলার তাসকিনকে কৃতিত্ব দিতেও ভুললেন না তিনি। “রান তাড়ায় শুরুতেই দুই উইকেট হারালে সবসময়ই কাজটা কঠিন হয়ে যায়। রান তাড়ায় দরকার হয় শক্ত ভিত। ওই দুটি উইকেট হারিয়ে আমরা কিছুটা পিছিয়ে পড়ি। আমাদের এই দলে ব্যাটিং গভীরতা ভালো। এই ম্যাচে পল ফন মিকারেন সেটি দেখিয়েছে। শেষ দিকে (এগারো নম্বরে) ব্যাটিংয়ে এসে সে কয়েকটি বাউন্ডারি মেরেছে। যেকোনো পরিস্থিতিতে আমরা নিজেদের ওপর আস্থা রাখি।”
“পাওয়ার প্লেতে তিন উইকেট হারানোর পরও ম্যাচ জেতা যায়, আমি দৃঢ়ভাবে তা বিশ্বাস করি…আমরা ১৬০, ১৭০ রান তাড়া করছিলাম না। এই কন্ডিশনে ১৪০ (১৪৪) রান অবশ্যই তাড়া করে জেতার মতোই স্কোর। এটা ঠিক যে, আজ রাতটা আমাদের ছিল না। তাসকিন ওই উইকেটগুলো নিতে ভালো বোলিং করেছে, তাই তাকেও কৃতিত্ব দিতে হবে।” দারুণ বোলিংয়ে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ার সেরা ২৫ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরা হন তাসকিন। আকারম্যান আরও একবার প্রশংসা করলেন বাংলাদেশের পেসারের বোলিংয়ের।
“আমার চোখে সে বেশ আগ্রাসন নিয়ে বোলিং করেছে। তারা জানত, ১৪০ (১৪৪) রান তাড়া করা সম্ভব। তাই শুরুতে তাদের উইকেট দরকার ছিল। সে ভালো জায়গায় বল করেছে, শুরুতে বিক্রমজিত সিং ও বাস ডে লেডেকে ফিরিয়েছে। ভিকি (বিক্রমজিত) সম্ভবত কিছুটা আলগা শট খেলেছিল, তবে ভালো ডেলিভারি ছিল। শুরুতেই যদি আমরা ওই দুটি উইকেট না হারাতাম, তাহলে ম্যাচটা পুরোপুরি ভিন্ন হতে পারত।


প্রকাশিত: অক্টোবর ২৬, ২০২২ | সময়: ৬:৩৪ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ